X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘হাস্যোজ্জ্বল মানুষটি কাঁদিয়ে চলে গেল’

বিনোদন রিপোর্ট
২৩ মে ২০১৮, ০০:০২আপডেট : ২৩ মে ২০১৮, ১৬:১২

কোনও এক আনন্দঘন মুহূর্তে তাজিন আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত মঙ্গলবার (২২ মে) না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। টিভি, মঞ্চের সামনে কিংবা পেছনে কাজ করা এ মানুষটি খুব সহজেই মন জয় করে নিয়েছিলেন তার সহকর্মীদের। তাদের স্মৃতিচারণেও ফুটে উঠল প্রাণবন্ত তাজিনের হাসিমাখা মুখের কথা। এ শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন তার কাছের কিছু মানুষ। তাদের সে কথাগুলো থাকছে এই প্রতিবেদনে- 


মামুনুর রশীদ
আমাদের খুব কাছের একজন ছিলো তাজিন। বয়সটা আর কতই! কিন্তু সে এভাবে চলে গেল। মেনে নিতেই পারছি না। একসঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। কত ধরনের স্মৃতি! সব মনে ভেসে উঠছে। হাস্যোজ্জ্বল মেয়েটির আমাকে কাঁদিয়ে চলে গেল। তার জন্য মনটা সব সময়ই কাঁদবে।

আফসানা মিমি
তাজিনের কথা মনে হলেই হাসি মুখটির প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে। খবর শুনেই চমকে গেছি। এরপর ছুটে গেছি হাসপাতালে। কেন এত অকালে চলে গেল মেয়েটি? তার মুখ, তার হাসির মায়া কখনও ভুলতে পারব না। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সে নেই।

তানভীন সুইটি
অভিনয়র পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তাজিন আহমেদ। এ এক বড় গুণ ছিল তার। আমি মুগ্ধ হতাম তার কাজে। তাজিনের সঙ্গে অনেক নাটকে কাজ করেছি। তিনি নেই, ভাবতেই পারি না।

তমালিকা কর্মকার
আমি অভিনয় করতাম কৃষ্ণা আর তাজিন করতেন বলাকা চরিত্র। আরণ্যকের ‘ময়ূর সিংহাসন’ নাটকে আমরা এভাবেই এসেছি। কত যে রিহার্সেল, মঞ্চে সময় কাটানো! যতটাই কষ্ট পাক, তিনি সবসময় হাসিখুশি থাকতেন। এখনও চোখ বন্ধ করলে তার হাসিমাখা মুখ ভেসে ওঠে। তাকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। আসলে আমরা খুবই শকড হয়েছি, এমন খবর শুনে। আরণ্যক নাটকের অনেকেই আজ বেতারের একটি কাজে এক জায়গায় আছি। প্রথম যখন খবর আসলো, আমরা মেনে নিতেই পারিনি।

ফজলুর রহমান বাবু
টেলিভিশনে তাজিন আহমেদও কাজ করেছেন, আমিও করেছি। কিন্তু কখনও একই নাটকে কাজ করার সুযোগ হয়নি। তার সঙ্গে আমার আন্তরিকতা বাড়ে মঞ্চের মাধ্যমে। আমরা একই সঙ্গে আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে কাজ করেছি। তার করা সর্বশেষ নাটক ‌‌‘ময়ূর সিংহাসন’-এ কাজ করা। খুব ট্যালেন্ডেড একজন মানুষ। যখন কথা বলতেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবকিছু তুলে ধরতে পারতেন। সহজভাবে কথা বলতে পারতেন।

মোমেনা চৌধুরী
যে যায়, সে বেঁচে যায়। অনেকদিন একসাথে কাজ (ময়ূর সিংহাসন) করেছি আমরা। মৃত্যুর খবর শুনেও যাওয়া হয়নি আমার। নিজে অসুস্থ বলে শেষ দেখাটাও দেখতে যেতে পারলাম না। সবাই দোয়া করুন।

ঈশিতা

গত দশ বছর তাজিন আপুর সঙ্গে আমার কোনও দেখা সাক্ষাৎ ছিল না। এরপর একদিন এক আয়োজনে তার সঙ্গে আমার দেখা হলো। তারপর থেকে গত একমাস আমার সঙ্গে মেসেঞ্জারে প্রচুর কথা হতো। আমাকে নানা আদেশ উপদেশ দিতেন। আর আজ হঠাৎ একি শুনলাম। এত অল্প বয়সে মানুষ চলে যায়?

স্বাধীন খসরু

তা‌জিন আহমেদ নেই! একজন ভালো মানুষ, একজন সহশিল্পীকে হারালাম!‌ যেখানে আছো, ভা‌লো থে‌কো...

শতাব্দী ওয়াদুদ
ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে আরও একটা নাম ডিলিট করতে হবে! কাজটা খুবই কঠিন! এর আগেও এই পরিস্থিতিতে পড়েছি। সামনেও হয়তো পড়তে হবে! আসলে বেঁচে থাকাটাই আকস্মিক! ভালো থেকো তাজিন আহমেদ! আমরাও আসব, তখন দেখা হবে ওপারে!

অনিমেষ আইচ
মরে গেলেই ‘আহা...উহু’! বেঁচে থাকতে কেউ গুরুত্ব দেয় না। ঈদ নাটক মানেই সব টাকা দিয়ে ষ্টার কাস্ট কিনতে হবে! মরে গিয়ে বেঁচে গেলেন তাজিন। একজন শিল্পীর অপমৃত্যুর জন্য আমরাই দায়ী। সামনে অকালমৃত্যুর দীর্ঘ সারি।

/এমআই-এম/এম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং