X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা লিট ফেস্টে এবারও যাওয়ার ইচ্ছে আছে: নন্দিতা দাস

জনি হক, কান (ফ্রান্স) থেকে
২৩ মে ২০১৮, ২০:২২আপডেট : ২৩ মে ২০১৮, ২২:১০

কানে ‘মান্টো’র ফটোকলে নন্দিতা দাস একপাশে ভূমধ্যসাগরের তীর। অন্যপাশে ম্যারিয়ট হোটেল। ভেতরে ঢুকে লবির সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে পোশাকের শো-রুম। সেখান থেকে হাতের ডানে কয়েক কদম এগিয়ে অপেক্ষা করছিলাম ‘মান্টো’র জনসংযোগ পরিচালক অ্যালেক্স রাউলির জন্য। তিনি এসে ভেতরে নিয়ে গেলেন।
বাংলাদেশ থেকে এসেছি জানতেন নন্দিতা দাস। তাই পরিচয় পর্বের শুরুতেই বলে রাখলেন, ‘আগেই বলে নিচ্ছি, আমার বাংলা খুব একটা ভালো নয়। আমি বাঙালি নই। তবুও আপনারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাই বাংলায় সাক্ষাৎকার দিতে চাই। চেষ্টা করে দেখি।’
মৃণাল সেনের ‘আমার ভুবন’ (২০০২), ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘শুভ মহরত’ (২০০৩) ও সুমন ঘোষের ‘পদক্ষেপ’ (২০০৬); এই তিনটি বাংলা ছবিতে নন্দিতা দাসকে দেখেছি। মুম্বাইয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠার পরও এসবের ‍সুবাদে বাংলা ভাষা মোটামুটি রপ্ত করতে পেরেছেন তিনি। এই তিনটি ছবির কথা মনে করিয়ে দিতেই তার মনে পড়ে গেলো, ‘আজ ১৪ মে না? আজ মৃণালদার জন্মদিন।’
পেছনে ‘মান্টো’র স্ট্যান্ড। সামনে নন্দিতা দাস বসেছেন। মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য কিছুক্ষণ সময় চেয়ে নিলেন। ৪৮ বছর বয়সী এই তারকা ভারতীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ফিরাক’ টরন্টোসহ অর্ধশতের বেশি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে জিতেছে ২০টিরও বেশি পুরস্কার।
‘মান্টো’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আগে ছবিটির অভিনয়শিল্পীদের মাঝে নন্দিতা দাস কানে মূল প্রতিযোগিতায় ২০০৫ সালে ও ২০১৩ সালে সিনেফঁদাসিউ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে বিচারক ছিলেন নন্দিতা দাস। ২০১১ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার নাইট অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারসে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে ফ্রান্সে ডাকটিকিটে প্রকাশিত হয় তার ছবি। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসির আন্তর্জাতিক ওমেন’স ফোরামের ইন্টারন্যাশনাল হল অব ফেমে স্থান করে নেন।
উর্দু সাহিত্যের বিখ্যাত ছোটগল্পকার সাদাত হাসান মান্টোর জীবনের ওপর কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন নন্দিতা দাস। ‘মান্টো’ নামের ছবিটি ছিল কান উৎসবের ৭১তম আসরের আঁ সার্তেন রিগার্দে। এ উপলক্ষে বাংলা ট্রিবিউনকে সময় দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার দেখা মান্টো কে?
নন্দিতা: আমার বাবা চিত্রকর যতীন দাশ। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন মান্টো (সত্যবাদী)। বাবাই আমার জীবনের সবকিছুর অনুপ্রেরণা। কানে তিনি ‘মান্টো’ দেখে অনেক খুশি হয়েছেন।
বাংলা ট্রিবিউন: শুনেছি ‘ফিরাক’ বানানোর আগেই সাদাত হাসান মান্টোর ছোটগল্প নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কোন সময়ে সিদ্ধান্ত নিলেন এই ছবিটি বানাবেন?
নন্দিতা দাস: শুরুতে ফিচার ফিল্ম করবো ভাবিনি। ‘ফিরাক’ করার আগে ভেবেছিলাম মান্টোর লেখা গল্পের ওপর শর্টফিল্ম বানাবো। ২০১২ সালে তার জন্মশতবর্ষে অনেক লেখা বের হলো পত্রিকায়। তখন মনে হলো— ছোটগল্পই শুধু নয়, তার নিজের জীবনটাই অনেক ইন্টারেস্টিং। তার পুরো জীবনের প্রতি আমার আগ্রহ জন্মালো। তারপরেই সিদ্ধান্ত নিলাম এ ছবিটা বানাবো। এজন্য ছয় বছর লেগেছে। ২০১২ সালে কাজ শুরু করে কানের এবারের আসরে এসে এর প্রিমিয়ার করতে পেরেছি।
‘মান্টো’র শুটিংয়ে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি ও নন্দিতা দাস বাংলা ট্রিবিউন: মান্টোর গল্প প্রায় ৭০ বছর আগের। আপনার কেন মনে হলো, আমাদের সময়ে এসেও তা প্রাসঙ্গিক?
নন্দিতা:
খেয়াল করলে দেখবেন, মান্টো যে স্ট্রাগলগুলোতে ছিলেন— যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যাশনাল কিংবা রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি, এসব কিন্তু আমাদেরকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এখনও সাহিত্য কিংবা চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ কিংবা সেন্সরশিপ করে দেওয়া হচ্ছে। লেখক, শিল্পী সবাই প্রতিকূলতার মধ্যে আছেন। সময়টা কারও পক্ষে নেই। এই সময়ে কী হচ্ছে, ‘মান্টো’র মাধ্যমে সেই উত্তরটা দিতে চেষ্টা করেছি আমি। আজকাল আমার দেশে, আপনার দেশে তথা দক্ষিণ এশিয়া ও পুরো পৃথিবীতে যেসব হচ্ছে, সেদিকে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য আমার মনে হয়েছে, ‘মান্টো’ যুতসই ছবি হতে পারে।
বাংলা ট্রিবিউন:
কানের এবারের আসরে প্রতিযোগিতা বিভাগের ২১টি ছবির মধ্যে দুটির পরিচালক (ইরানের জাফর পানাহি ও রাশিয়ার কিরিল সেরেব্রেনিকভ) নিজেদের দেশে গৃহবন্দি...
নন্দিতা: এটা খুব দুঃখজনক। এখন একবিংশ শতাব্দীতে আছি আমরা। চাঁদেও যাচ্ছে মানুষ। অথচ এমন একটা সময়ে গণতান্ত্রিক পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে আমরা মতামত প্রকাশ করতে পারছি না। তবে এর মধ্যে কান স্পেশাল। এই উৎসবে শুধু ঝলমলে লালগালিচাই থাকে তা নয়, নিজেকে প্রকাশের জায়গাও মেলে এখানে।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘ফিরাক’-এর মূল উপজীব্য ছিল ২০০২ সালের গুজরাটে ঘটে যাওয়া দাঙ্গা। ‘মান্টো’ আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ। আপনার পরিচালিত দুটি ছবির মধ্যে স্বাধীনতার জন্য মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, সেদিকে একটা সংযোগ খুঁজে পাচ্ছি।
নন্দিতা: ‘মান্টো’ বানানোর সময় মনে হয়নি ‘ফিরাক’-এর সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু এখন ছবিটি দেখে একটা সংযোগ খুঁজে পাচ্ছি। দুটি ছবির মূল কথা হলো মনুষ্যত্ব। দুটিতেই সোশ্যাল পলিটিক্যাল প্রেক্ষাপট আছে। দুটিতেই আইডেন্টিটি ও ভয় নিয়ে কথা আছে। কেন মানুষ ভয় পায় তা দেখিয়েছি। আগের ছবিতে রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি নিয়ে কথা ছিল। এখানে সামাজিক আইডেন্টিটি নিয়ে কথা আছে। আমার নিজেরও বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। তাই সিনেমার মাধ্যমে এসব বিশ্লেষণ করতে চেয়েছি।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘ইন ডিফেন্স অব ফ্রিডম’ নামে একটি শর্ট ফিল্ম বানিয়েছেন। ওই ছবিতেও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি ছিলেন। এটা কী ‘মান্টো’র প্রস্তুতি ছিল?
নন্দিতা: বলতে পারেন। আমরা ‘মান্টো’র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রি-প্রোডাকশন চলছিল। তখন ইন্ডিয়া টুডে একটা শর্ট ফিল্ম তৈরির প্রস্তাব দেয় আমাকে। প্রথমে তো তাদের বলে দিলাম করতে পারবো না। আমি ভীষণ ব্যস্ত, ব্যাপারটা অসম্ভব। পরে তারা বললো, মাত্র ৫-৬ মিনিটের একটা ফিল্ম। দৈর্ঘ্য শুনে মনে হলো কাজটা করি। ভাবলাম আমাদের জন্য ভালো হবে, আমার শুটিং টিম এককাতারে আসবে। নওয়াজও মান্টো হয়ে ওঠার প্রস্তুতিটা সেরে নিতে পারবে। সব মিলিয়ে এটি ভালো একটা ড্রেস রিহার্সেল ছিল।
বাংলা ট্রিবিউন: মান্টো চরিত্রে নওয়াজুদ্দিনকে যুতসই মনে হলো কেন?
নন্দিতা: প্রথম কথা হলো— মান্টোর মধ্যে যে ধরনের কন্ট্রাডিকশন আছে, তাতে দারুণ একজন অভিনেতাকে দরকার ছিল আমাদের। আমরা এমন একজনকে চেয়েছি, যিনি খুব সেনসিটিভ ও একইসঙ্গে খুব উদ্ধত ও রাগী হতে পারবেন। আদালতে যা বলতে চাইতেন তা বলতে পারার মতো সাহসী মানুষ ছিলেন মান্টো। ব্যক্তিজীবনে তিনি ৪২ বছর বয়সেই অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। এ ধরনের কন্ট্রাডিকশন ফুটিয়ে তোলার জন্য সত্যিকার অর্থে নওয়াজের মতো একজন ভালো অভিনেতা ছাড়া বিকল্প ছিল না। তার চোখগুলোতে জীবনের অভিজ্ঞতা দেখা যায়। তাছাড়া তিনি জীবনের স্ট্রাগলগুলোর সঙ্গে পরিচিত। এজন্য তাকেই সবচেয়ে যোগ্য মনে হয়েছে। তাছাড়া আমরা আগেও একসঙ্গে কাজ করেছি। ‘ফিরাক’-এ তিনি ছিলেন। মান্টোর মতো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র উপস্থাপন করতে বোঝাপড়ারও একটা ব্যাপার থাকে, যেটা তার সঙ্গে আমার আছে।
কান উৎসবের লালগালিচায় সংহতি প্রকাশ করা ৮২ জন নারীর মধ্যে ছিলেন নন্দিতা দাস বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বজুড়ে নারীরা এখন সমঅধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার। এবারের কানে ৮২ জন নারী একসঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে আপনিও ছিলেন। ‘মান্টো’ কী নারীদের এ বিষয়ের সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত?
নন্দিতা:
নিশ্চয়ই। নারীদের ব্যাপারে মান্টো খুব সেনসিটিভ ছিলেন। বিশেষ করে যৌনকর্মীদের ব্যাপারে। কেউ তো ওদের কথা ভাবে না, লেখে না। তিনি কিন্তু তাদেরকে সমান চোখে মানুষ হিসেবেই দেখেছেন। নিজের গল্পের মাধ্যমে নারীদেরকে শক্তি জুগিয়েছেন। ‘মান্টো’কে কোনও লেভেল দেওয়া উচিত নয়। আমি লেভেল পছন্দও করি না। তবে তিনি সত্যিই নারীবাদী লেখক ছিলেন। সবার জন্যই তার মানবিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাংলা ট্রিবিউন: কানে সংহতি প্রকাশের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
নন্দিতা: এবারের কান উৎসব নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কানের লালগালিচায় অনেকবার হেঁটেছি। কখনও বিচারক হিসেবে, কখনওবা ছবি দেখার জন্য। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতার সঙ্গে কোনোকিছুর তুলনা হয় না। ৮২ জন নারী একে অপরের হাত ধরে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধু যে গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী ছিলেন তা নয়; কেউ হয়তো চিত্রগ্রাহক, ভিডিও সম্পাদক, প্রযোজক কিংবা সাউন্ড রেকর্ডিস্ট। ক্যামেরার পেছনে নারীরা যেসব দায়িত্ব পালন করছেন, সবাই সমবেত হয়েছিলেন সেদিন। আমাদের মধ্যে সংহতির সত্যিকারের অনুভূতি কাজ করেছে। কেউ কেউ কেঁদেছেন। আমরা কেউ কারও সম্পর্কে খুব একটা না জানলেও ঠিকই জড়িয়ে ধরেছি। কান এমন একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, এটা ইতিবাচক দিক। ভালো লাগার ব্যাপার হলো, আমার ছবিও এখানে আছে।
বাংলা ট্রিবিউন: সিনেমা হলে ‘মান্টো’ কবে আসবে?
নন্দিতা: আমিও অপেক্ষা করছি। অবশ্যই এ বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে।
‘ফিরাক’ ছবির শুটিংয়ে নাসিরুদ্দিন শাহকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন নন্দিতা দাস
বাংলা ট্রিবিউন:
বাংলাদেশে ছবিটি নিয়ে আসতে চান?
নন্দিতা:
অবশ্যই। কারণ আমাদের উপমহাদেশের বিষয়বস্তুগুলো প্রায় একই। তাছাড়া দেশভাগের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগও রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘মান্টো’কে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। অবশ্যই বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। মাঝে একটি নাটক (বিটুইন দ্য লাইনস) নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম।
বাংলা ট্রিবিউন:
ঢাকা লিট ফেস্টে তো এসেছিলেন?
নন্দিতা:
তিন-চার বছর আগে ঢাকা লিট ফেস্টে অংশ নিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাকে গতবারও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। তবে ঢাকা লিট ফেস্টের এবারের আসরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার।
বাংলা ট্রিবিউন:
বাংলাদেশের ছবিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন কখনও?
নন্দিতা: একবার পেয়েছিলাম। তবে পরিচালকের নাম বলবো না (হাসি)। আমাদের কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না। বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে আমার আপত্তি নেই। তারেক মাসুদের ছবিগুলো দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মেলোডি একই মনে হয় আমার কাছে। ফলে আমরা বিভিন্ন দেশ মিলে আরও অনেক কাজ করতে পারি।
নন্দিতার নাড়ি ছেড়া ধন ছেলে বিয়ান বাংলা ট্রিবিউন: বাংলা ছবি বানাবেন?
নন্দিতা:
আমি ভাঙা ভাঙা বাংলা বলি। আমার বাঙালি অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে আড্ডায় বাংলা বলা হয়। এই ভাষায় ছবি বানানো অসম্ভব নয়। তবে কঠিন। কারণ ছবি বানানোর জন্য ভাষার ওপর দক্ষতা দরকার। যেটুকু বাংলা জানি তা দিয়ে অভিনয় করা যেতে পারে।
বাংলা ট্রিবিউন:
আপনার ক্যারিয়ারে মাত্র তিনটি বাংলা ছবি। এর মধ্যে সবশেষটা মুক্তি পেয়েছে একযুগ আগে...
নন্দিতা: সত্যি বলতে সময় পাইনি। মুম্বাইয়ে থাকি, ছোট বাচ্চা (বিয়ান) আছে। একটা শিশু কল্যাণ সংস্থার চেয়ারপারসন ছিলাম। তাছাড়া একটা ম্যাগাজিনে কলাম লিখতাম। সব মিলিয়ে গত ছয়-সাত বছর অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে ‘মান্টো’র পেছনেই চলে গেছে ছয় বছর। তবে হ্যাঁ, ভালো চরিত্র পেলে আবারও বাংলা ছবিতে কাজ করবো।
বাংলা ট্রিবিউন: ‘ফিরাক’-এর পর দ্বিতীয় ছবি পরিচালনার জন্য ১০ বছর সময় নিয়েছেন। এবার কত সময় নেবেন?
নন্দিতা: এবার আর এত সময় নেবো না। ইতোমধ্যে চিত্রনাট্য হাতে পেয়ে গেছি। ‘ফিরাক’-এ যেসব ভুল করেছি, ‘মান্টো’তে তা শুধরানোর চেষ্টা করেছি। তৃতীয় ছবি বানালে আগের ভুলগুলো আর হবে না। নতুন ভুল হতে পারে!  
কানে বাংলা ট্রিবিউনের মুখোমুখি নন্দিতা দাস:

/জেএইচ/এমএম/
সম্পর্কিত
জাপানি চিত্রকর্ম এবং আরব বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী!
কান উৎসব ২০২৪জাপানি চিত্রকর্ম এবং আরব বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী!
৭৭তম কান মাতাবে ‘ফিউরিওসা’
৭৭তম কান মাতাবে ‘ফিউরিওসা’
এবারের কান উৎসব শুরু ও শেষ হবে ওনার কথায়!
এবারের কান উৎসব শুরু ও শেষ হবে ওনার কথায়!
১৯ বছর বয়সে কানে চমকে দেওয়া সেই পরিচালক এবার গুরুদায়িত্বে
১৯ বছর বয়সে কানে চমকে দেওয়া সেই পরিচালক এবার গুরুদায়িত্বে
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
২৪ বছর পরে আবার একসঙ্গে...
২৪ বছর পরে আবার একসঙ্গে...
সুবিধাবঞ্চিত ৪ শতাধিক বাচ্চার সঙ্গে ‘মেঘনা কন্যা’র ইফতার
সুবিধাবঞ্চিত ৪ শতাধিক বাচ্চার সঙ্গে ‘মেঘনা কন্যা’র ইফতার