মিঠুনপুত্রের বিয়ের আসরে পুলিশ, বেঁকে বসলেন কনে

বর-কনে দুপক্ষই উপস্থিত। ঠাকুর এসে মন্ত্র পড়াবেন। ঠিক তার আগেই বিয়ের আসরে হাজির পুলিশ! বিয়ের মঞ্চেই বরের সঙ্গে পুলিশের জেরা। অন্যদিকে এমনটা দেখে বেঁকে বসলেন কনে। পণ্ড হয়ে গেল বিয়ে!
ঠিক যেন সিনেমার কোনও চিত্রনাট্যের মতোই স্থগিত করা হলো বলিউড ও টলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী মিমোর বিয়ে। যিনি নিজেও টলিউডের বেশ ক’টি ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত, মিমোর সাবেক প্রেমিকার ধর্ষণের অভিযোগ। বিয়ের দিনক্ষণ (৭ জুলাই) ঠিক ছিল। তাই ধর্ষণে অভিযুক্ত মহাক্ষয় ও তার মা যোগিতা বালি বম্বে হাইকোর্টে অগ্রিম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সে আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তবে দিল্লি আদালত থেকে শনিবার (৭ জুলাই) জামিন পেয়েছিলেন মহাক্ষয়।
এমন অবস্থাতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিলেন মহাক্ষয়। আগের কথা অনুযায়ী মিঠুনের তামিলনাড়ুর একটি হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানে হাজির হয় পুলিশ।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিয়ের পাত্রী অভিনেত্রী শিলা শর্মার মেয়ে মাদালসা শর্মা। তিনি নিজেও অভিনেত্রী। শনিবারই (৭ জুলাই) গাঁটছড়া বাঁধার কথা ছিল তাদের। অন্যদিকে সাবেক প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মিমোর বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিয়ে বাতিল করেননি কনে মাদালসা শর্মার পরিবার। তার মা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়েটা হবে। সেই মতো বিয়ের আসরও বসেছিল তামিলনাড়ুতে। সেখানে পুলিশের তদন্তকারীরা উপস্থিত হওয়ার পরেই মুখ ফিরিয়ে নেন কনে ও তার পরিবার। বিয়ে বাতিল করে ফিরে গেছে কনেপক্ষ।
মিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার বছর ধরে এক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছিলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রমতে, অভিযোগকারী ভোজপুরি অভিনেত্রী। তার অভিযোগ, পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করান মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। এরপরেই ভয়ে মুম্বাই থেকে দিল্লি চলে যান তিনি, পরে মামলার সিদ্ধান্ত নেন। থানায় মিমোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য এখনও দেয়নি মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবার।