X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৬

১৯বার জাতীয় পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছি: ফারুক

বিনোদন রিপোর্ট
০৮ জুলাই ২০১৮, ২০:৪৮আপডেট : ০৯ জুলাই ২০১৮, ২০:৫৫

আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করছেন নায়ক ফারুক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪১তম আসরে আজ (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আজীবন সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেন নন্দিত নায়ক ফারুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে এই পদক তুলে দেন।
সম্মাননা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ফারুক শোনান বঙ্গবন্ধুর কথা। অথবা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার দায়ে পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ।
ফারুক বললেন, ‘এই জীবনে আমি ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছি! কারণ আমি সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। আমিও স্পষ্ট বলেছি, যদি পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে এটাই মূল কারণ হয়- তো আমি তাঁর কথা বারবার বলবো, পুরস্কার চাই না।’
রবিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪১তম এই আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো সিনেমা হয়। সবসময় তো দেখতে পারি না, তবে বিমানে যাতায়াতের সময় সিনেমা দেখি। ওই একটাই সুযোগ, নিরিবিলি দেখি। এর বাইরে তো সময় পাই না। সারাদিন মিটিং আর ফাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে সমাজে অনেক বক্তব্য পৌঁছানো যায়। দেশ ও সমাজের ভালোর জন্য অনেক ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। একটা সময় সিনেমা দেখা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। এখন মানুষ আবারও সিনেমা দেখছে। এটা আনন্দের খবর।’
আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করছেন ববিতা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার মন্তব্য, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, এমন বিষয় সিনেমায় তুলে ধরা প্রয়োজন।’
বিএফডিসি ও চলচ্চিত্র শিল্প যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল, শেখ হাসিনা মনে করিয়ে দিলেন সেটা। তিনি আশ্বাস দিলেন, ‘আমরা যেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বেশি বেশি বানাতে পারি, সেজন্য যা যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে আমি সবই করবো।’
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা কাজের জন্য ২৫টি বিভাগে মোট ৩১জন বিজয়ীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেন তিনি। এ সময় তার দুই পাশে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ফারুক।
পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
একনজরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ বিজয়ীরা
আজীবন সম্মাননা: চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি ববিতা ও ফারুক (যৌথভাবে)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: অজ্ঞাতনামা, প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ঘ্রাণ, প্রযোজক এসএম কামরুল আহসান।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: জন্মসাথী, প্রযোজক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: চঞ্চল চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: তিশা, ছবি-অস্তিত্ব ও কুসুম শিকদার, ছবি-শঙ্খচিল (যৌথভাবে)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা: আলীরাজ, ছবি-পুড়ে যায় মন ও ফজলুর রহমান বাবু, ছবি-মেয়েটি এখন কোথায় যাবে (যৌথভাবে)।
সম্মাননা গ্রহণ করছেন সেরা অভিনেতা চঞ্চল ও অভিনেত্রী তিশা শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রী: তানিয়া আহমেদ, কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা: শহীদুজ্জামান সেলিম, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ গায়ক: ওয়াকিল আহমেদ, গান-অমৃত মেঘের বারি, ছবি-দর্পণ বিসর্জন।
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মেহের আফরোজ শাওন, গান-যদি মন কাঁদে, ছবি-কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার, গান-বিধিরে ও বিধি, ছবি-মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ সুরকার: ইমন সাহা, গান-বিধিরে ও বিধি, ছবি-মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: তৌকীর আহমেদ, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: রুবাইয়াত হোসেন, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: ইকবাল আহসানুল কবির, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম গুহ, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: রাশেদ জামান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: সাত্তার, ছবি-নিয়তি ও ফারজানা সান, ছবি-আয়নাবাজি (যৌথভাবে)।
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান: মানিক, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক। ১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়। বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: ফোকাস বাংলা

/এম/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা