আমার কিন্তু পূজার চেয়ে ঈদের সময়টা ভালো কাটে। কারণ আমার বেশিরভাগ বন্ধুরাই মুসলমান। বরং পুজোর সময়ই একা একা বসে থাকতে হয়!
বয়স তখন খুবই কম। ১১ বা ১২ হবে। কিন্তু তখনই আমি ছিলাম সিনেমার পোকা। ঈদ আসলে মাথার মধ্যে একটাই বাক্য ঘোরাফেরা করতে থাকে, ‘কখন ও কীভাবে সিনেমা দেখব! তাই শৈশব থেকে ঈদটাই আমার বড় উৎসব। এখনও একই অনুভূতি আছে।
এক ঈদে আমাদের এলাকায় (নারায়ণগঞ্জ) এলো নায়ক মান্নার ছবি। আমার অবস্থা তো আরও অস্থির। দেখতেই হবে। আমার সঙ্গে বন্ধুরা যারা ছিল তারাও আমার মতোই। কিন্তু ছবি দেখতে তো টাকা লাগবে। ১৮ টাকা করে প্রতি টিকিট।
আমার সঙ্গের দুই বন্ধু আগের দিনই বন্দর এলাকায় পড়ে থাকা লোহার টুকরোগুলো সংগ্রহ শুরু করেছিল। এরমধ্যে রবিন নামের একজন নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে ভালোই আঘাত পায়। পুরোই রক্তাক্ত অবস্থা।
ওকে নিয়ে আমরা ছুটলাম হাসপাতাল। তার ক্ষত স্থানে সেলাই করে একেবারে ভাঙ্গারির দোকানে উপস্থিত। সেখানে লোহাগুলো সব দিলাম বিক্রি করে। ব্যস সিনেমা দেখা ও খাওয়া-দাওয়ার টাকা পেয়ে গেলাম।
আমার মনে আছে আমরা ২০০ টাকায় লোহার টুকরোগুলো বিক্রি করেছিলাম। তিনজন হলে গিয়ে দেখেছিলাম মান্না ভাইয়ের ছবি।