X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইয়ুব বাচ্চুর শেষ জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৮আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ২০:২৫

চট্টগ্রামের জানাজার দৃশ্য চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জমিয়াতুল জাতীয় মসজিদের সচিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দীন জানাজা পড়ান।
এতে অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নামে। এখন তাকে নগরীর চৈতন্যবলি কবরস্থানে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে মায়ের কবরের বাম পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। এর আগে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে আনা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। এখানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম নেওয়া হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে মাদারবাড়িতে তার নানার বাড়ি পথে রওনা হন স্বজনরা। বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ নানার বাড়িতে পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার নেওয়া হয় চট্টগ্রাম নগরীতে। আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে তাজোয়ার (ডানে) ও স্বজনরা
জানাজার সময় আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাব তাজোয়ার আইয়ুব দেশবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চান।

এদিকে, প্রিয় সংগীতশিল্পীকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে তার নানাবাড়িতে ভক্তদের ভিড় বাড়ে। সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হন ভক্তরা। ফোরকান রাসেল নামে এক ভক্ত বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ঢাকায় বাচ্চু ভাইয়ের কনসার্টে ছুটে গিয়েছি। বাচ্চু ভাইয়ের গানের টানে ছুটে গেছি। স্টেজে বাচ্চু ভাই মানে ফাটাফাটি মন জুড়ানো প্রোগ্রাম। কিন্তু আজ এসেছি বাচ্চু ভাইকে শেষ বিদায় দিতে। আর যে পাবো না বাচ্চু ভাইকে কোনও প্রোগ্রামে। তাই কত কষ্টের এই বিদায় বোঝানো যাবে না।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মৃত্যুবরণ করেন গুণী এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে রংপুরে একটি কনসার্ট শেষ করে ১৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় ফেরেন আইয়ুব বাচ্চু। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানাজা পড়ানো দৃশ্য
২০০৯ সালে আইয়ুব বাচ্চুর হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর ফুসফুসে পানি জমার কারণে স্কয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। বেশ কিছু দিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে আবারও গানে ফেরেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আলাদা সুনাম ছিল তার। ভক্তদের কাছে তিনি ‘এবি’ নামে পরিচিত।

/আইএ/এম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী