X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

হোটেল কক্ষ থেকে চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:১৪আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৫

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চিত্রগ্রাহক-আলোকচিত্রী আনোয়ার হোসেনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে রাজধানীর একটি হোটেলে। আজ (১ ডিসেম্বের) সকাল সাড়ে ১০টায় পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হেভেনের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

আনোয়ার হোসেন। ছবি- ষৈয়দ জাকির হোসেন ফ্রান্স প্রবাসী এই চিত্রগ্রাহক পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। একটি ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে তিনি দেশে ফেরেন সম্প্রতি।
ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতনরা উপস্থিত আছেন। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের এএসআই তপন ঘটনাস্থল থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে হোটেলটির ব্যবস্থাপক ফোন দিয়ে জানায়, আনোয়ার হোসেনের কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ। ফোন বা ডাকাডাকি করেও তার কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহটি পাই। সুরতহাল করার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
হোটেল ওলিও ড্রিম হেভেন থেকে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর এ হোটেলের ৮০৯ নম্বর কক্ষে তিনি ওঠেন। ফিনিক্স ফটোগ্রাফি সোসাইটি নামের একটি আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে কাজ করছিলেন আনোয়ার হোসেন। সপরিবারের ফ্রান্সে থাকলেও এই প্রতিযোগিতার জন্য তিনি দেশে এসেছিলেন।
তার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। তারাই প্রতিদিন তাকে নিয়ে যেতেন এবং পৌঁছে দিতেন।
প্রতিযোগিতাটির সঙ্গে যুক্ত আসাদুজ্জামান সবুজ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আয়োজনের ছবি নির্বাচনের জন্য কাজ করছিলেন আনোয়ার হোসেন। গত কয়েক দিনের মতো আজ রবিবার সকালে সাড়ে ৭টার দিকে তার (আনোয়ার) সঙ্গে দেখা করে ছবি বাছাইয়ের কাজ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেটা রিসিভ হচ্ছিল না। এরপর প্রতিযোগিতার দুজন ব্যক্তি হোটেলে এসে ফোন দিয়ে ও দরজায় নাড়া দিয়েও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। এরপর পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে দরজা ভাঙলে ভেতরে আনোয়ার হোসেনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ছোটবেলায় আঁকাআঁকির মাধ্যমেই রঙের দুনিয়ার সাথে পরিচয় ঘটে এই বরেণ্য আলোকচিত্রীর। ভর্তি হয়েছিলেন বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে, কিন্তু স্থপতি হওয়ার পাঠ না চুকিয়েই সিনেমাটোগ্রাফি পড়তে চলে যান ভারতের পুনেতে। ক্যামেরা হাতে কাজ করেছেন ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’, ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রে। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।
চিত্রগ্রাহক পরিচয়ের চেয়েও তিনি খ্যাতিমান ছিলেন আলোকচিত্রী হিসেবে। দেশের বাইরেও তার সে খ্যাতি আছে। তার হাত ধরেই এদেশের তৈরি হয়েছেন অসংখ্য আলোকচিত্রী। আনোয়ার হোসেনের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো- সূর্যদীঘল বাড়ী (১৯৭৯), এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০), পুরস্কার (১৯৮৩), অন্য জীবন (১৯৯৫), লালসালু (২০০১) প্রভৃতি।

/আরজে/এআরআর/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
জানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
প্রয়াণ দিনে স্মরণজানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
‘ওপারে ভালো থেকো বন্ধু’
অভিনেতা রুমির মৃত্যু‘ওপারে ভালো থেকো বন্ধু’
ফ্লপে হ্যাটট্রিক, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
ফ্লপে হ্যাটট্রিক, মুখ খুললেন অভিনেত্রী