X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার সকালে শহীদ মিনারে নেওয়া হবে কিংবদন্তির মরদেহ

বিনোদন রিপোর্ট
২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২০আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৫

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ আগামীকাল (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
মরদেহ বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে। সর্বস্তরের মানুষ এখানে তাকে চিরবিদায় জানাতে পারবেন। এরপর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘তার এক বোন দেশের বাইরে আছেন। তিনি হয়তো বিকালের মধ্যে ফিরবেন। এরপর আগামীকাল সকালে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার কবরের স্থানটির বিষয়ে সরকার নির্দেশনা দেবে। আমরা চাইছি তাকে যেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা যায়।’

এদিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুলবুল ভাইয়ের এক ছেলে। সে ছোট। তার দুই বোন। একজন কলকাতা গেছেন। তার আজ (২২ জানুয়ারি) ফেরার কথা। তিনি এলেই দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে শিল্পী বুলবুলের মরদেহ।’
এদিকে আজ (২২ জানুয়ারি) সকালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার ছেলে সামির আহমেদের মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। তখন তা রিসিভ করেন কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী। তিনি বলেন, ‌‘ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা গেছেন। পালস পাওয়া না যাওয়ায় দ্রুত তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (আয়েশা মেমোরিয়াল) নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসা হয়।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি তার হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তখন তার হার্টে দুটি রিং পরানো হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।

আহমেদ ইমতিয়াজ ১৯৭০ সালের শেষ লগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর টানা দেড় দশক শুধু দেশের গান তৈরি করেছেন তিনি। বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনকচাঁপাসহ বাংলাদেশি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

সংগীতে অবদানের জন্য বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পান।

/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
মা হারালেন বেবী নাজনীন
মা হারালেন বেবী নাজনীন