X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

১০ দিনেই শেষ ১২ নাটকের শুটিং!

বিনোদন রিপোর্ট
৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৬আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০৪

বালি’তে শুটিংয়ের ফাঁকে ১২ নাটকের ৬ জন শিল্পী

ন্যূনতম তিনদিন তো লাগেই, এক পর্বের সাধারণ কোনও নাটক নির্মাণে। সে হিসেবে এক ডজন নাটকের জন্য লাগতে পারে কমপক্ষে ৩০টা দিন। অথচ ১০ দিনেই দূর শহরে শেষ হয়ে গেল ১২টি নাটকের শুটিং! বিষয়টি ম্যাজিকের মতোই।

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে গেছে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় দ্বীপ বালিতে। ৩ নির্মাতা ও ৮ জন শিল্পীর সমন্বয়ে চলতি মাসের ২০ তারিখে কাজ শুরু হয় সেখানে। নাটকগুলোর পুরো কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টরা ঢাকায় ফিরেছেন ৩০ জানুয়ারি। জানিয়েছেন টিমের অন্যতম সদস্য নির্মাতা সাখাওয়াত মানিক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ত্রিধারা মিডিয়া সূত্র।

ত্রিধারা মিডিয়া ও মিরাকি প্রোডাকশন হাউজের ব্যানারে নির্মিত নাটকগুলো পরিচালনা করেছেন সাখাওয়াত মানিক, স্বাধীন ফুয়াদ ও আসাদুজ্জামান আসাদ। সৈয়দ ইকবাল, গল্পওয়ালা ও প্রসূন রহমানের রচনায় নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন নিলয়, ওমর আয়াজ অনি, মৌসুমী হামিদ, নুসরাত জান্নাত রুহী, শ্যামল মাওলা, পীরজাদা শহীদুল হারুন, অদ্বিতীয়া আশা, সাইরা প্রমুখ।

সেখানে নির্মিত ১২টি নাটকের নাম হলো- ‘বিপরীত ভালোবাসা’, ‘অবশেষে’, ‘চোখ’, ‘হেলালের হানিমুন’, ‘এমনও হয়’, ‘নাটকীয় প্রেম’, ‘এক টুকরো ভালোবাসা’, ‘সম্পর্ক’, ‘এসো হাতটা ধরি’, ‘হানিমুন’, ‘জড়িয়ে থাকুক ভালোবাসা’ ও ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’।

বালি থেকে ফিরে নির্মাতা সাখাওয়াত মানিক বললেন, ‘বিশেষ দিবসকে প্রাধান্য দিয়ে ভিন্নধর্মী এই নাটকগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বিদেশে নির্মিত নাটকে অনেক সময় গল্প সংকট দেখা দিলেও আমাদের এই নাটকগুলো মূলত গল্পকেই উপজীব্য করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি নাটকের গল্প বেশ আলাদা। শিগগিরই নাটকগুলো দেশের বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের প্রস্তুতি চলছে এখন।’ 

বালি’তে একই ইউনিটের ৩ শিল্পী কিন্তু এত দ্রুত সময়ে ১২টি নাটক নির্মাণ কেমন করে সম্ভব? জবাবে একই ইউনিটে থাকা চিত্রনাট্যকার সৈয়দ ইকবাল বললেন, ‘আগে এমন প্রশ্ন আমার মাথাতেও আসতো। তবে এবার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলাম কাছ থেকে। দেখলাম, বিদেশে থাকার কারণে শুটিংয়ের বাইরে পুরো টিমের তেমন কোনও কাজই থাকে না। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত টানা কাজের মধ্যেই থাকতে হয় সবাইকে। শিল্পীদের সময় মতো শুটিংয়ে আশার বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। মেকআপ রুমে সময় নষ্ট করার সুযোগ থাকে না। সিডিউল ফাঁসানোর বিষয় থাকে না। সবাই থাকেন একই হোটেলে, খাওয়া একই টেবিলে, আড্ডা একই ইউনিটে। সবাই সবাইকে সাপোর্ট দেওয়া যায় সবসময়। যেটা দেশে থাকলে সম্ভব হয় না। বিদেশে শুটিং করার সুবিধা কিন্তু অনেক। বরং যত জটিলতা তৈরি হয় দেশের মাটিতে।’

/এস/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়