X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় নিরবের ছবির রেকর্ড!

বিনোদন রিপোর্ট
০৩ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৫আপডেট : ০৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:১৯

ছবিটির প্রিমিয়ার শোতে নিরব ও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা নিরব হোসাইন অভিনীত প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ‘বাংলাশিয়া ২.০’। যেটি এখন মালয়েশিয়ান চলচ্চিত্র অঙ্গনে নতুন আলোচনার বিষয়। দর্শক-সমালোচকদের করতালির মাধ্যমে ছবিটি জানান দিচ্ছে রেকর্ড গড়া ও ভাঙার হাতছানি!
ছবিটির পরিচালক নেমইউ প্রসঙ্গে শুরু থেকেই ঢাকার নায়ক নিরবের ভাষ্যটা এমন, ‘সে মালয়েশিয়ার খুবই জনপ্রিয় নির্মাতা। এমনকি নায়ক-নায়িকাদের চেয়েও বড় তারকা। আমরা যখন মালয়েশিয়ায় শুটিং করতাম তখন তার ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হতো। সে এতটাই জনপ্রিয় যে, পুলিশের সহযোগিতাও নিতে হয়েছে।’
সংবাদের শুরুতেই নেমইউয়ের প্রসঙ্গটা আনার কারণ হলো, জনপ্রিয় এ পরিচালকের ব্যবসাসফল আরেকটি চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে ‘বাংলাশিয়া ২.০’।
২৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি প্রথম দিন আয় করেছে ২ লাখ ২০ হাজার রিঙ্গিত। প্রথম দিনের হিসেবে যা এ পরিচালকের মুক্তিপ্রাপ্ত সব ছবির চেয়ে এগিয়ে!
এর আগে নেমইউ পরিচালিত ‘নাসি লেমাক ২.০’ ১ লাখ ৭৫ হাজার ও ‘হ্যান্টু গ্যাংস্টার’ এক লাখ ৮৮ হাজার রিঙ্গিত প্রথম দিনে আয় করেছিল।
মালয়েশিয়ার বিনোদন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক পত্রিকা স্টার-২ জানাচ্ছে, ‘বাংলাশিয়া ২.০’ ৬ বছর নিষিদ্ধ ছিল। আর এ কারণেই শাপেবর হয়েছে বিষয়টি। নিষিদ্ধ থাকার কারণে ছবিটি মুক্তির পর দর্শক চাহিদা বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে ছবিটি প্রথম সপ্তাহে দেশটির সব সিনেমার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
ছবির একটি দৃশ্যে পরিচালক (মাইক ঝোলানো) নেমইউ ও অভিনেতা নিরব পত্রিকাটিকে পরিচালক নেমইউ বলেন, ‘ছয় বছর ধরে দর্শক ছবিটির জন্য অপেক্ষা করেছেন। এ জন্য প্রত্যাশাটা বেশি। আমাদের নতুন সরকার এসেছে, তাই ছবিটি মুক্তির আলো দেখলো। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি এজন্য ধন্যবাদ দিতে চাই।’
২০১৩ সালে শুটিং শেষ হয়েছিল ছবিটির। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মুক্তি আটকে যায়। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে দেশটিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১০৬টি হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
৯২ মিনিটের এ সিনেমাটির নাম প্রথমে ‘মাংগালা কাউবয়’ থাকলেও পরে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাশিয়া ২.০’।
এতে বাংলাদেশের নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সিঙ্গাপুরের মডেল-অভিনেত্রী আতিকা সোহাইমি। এর বিশেষ একটি চরিত্রে পরিচালক নিজেও অভিনয় করেছেন।


চলচ্চিত্রটি বাংলা ভাষাসহ মোট ৬টি ভাষায় ডাবিং হয়েছে। ভাষাগুলো হলো- মালে, চায়না, তামিল, থাই ও ইংরেজি। এর দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে মালয়েশিয়ার পুচং, সেরামবান, কালাং, চায়না টাউন, পোর্টকালংসহ বিভিন্ন জায়গায়।
নিরব জানান, দেশটিতে নানা ধরনের অপরাধ এবং প্রবাসীদের সঙ্গে অসদাচরণ নিয়ে ছবিটির গল্প। এখানে তাকে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে ভাগ্যের সন্ধানে মালয়েশিয়া যাওয়া এক যুবকের চরিত্রে। যে কখনও বাবুর্চি, কখনও আবার আকাশছোঁয়া দালানে চুনকাম করছেন। ঘটনাক্রমে সে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। শেষভাগে তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে চরিত্রটি একটি বার্তা দিয়ে যায় মালয়েশিয়ানদের। সেটি হলো- ঝগড়া নয়, মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকো। মূলত, এসব কারণেই ছবিটি আলোর মুখ দেখার আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ছবিটির প্রচারণার কাছে নিরব এখন অবস্থান করছেন মালয়েশিয়ায়। নিরবকে মাঝে নিয়ে পুরো টিমের উচ্ছ্বাস

/এম/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!