বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছিলেন ব্রিটিশ নারী নির্মাতা লরেন অ্যান্ডার্স ব্রাউন। পুরুষদের আধিপত্যে মিনারা নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে আলাদাভাবে চোখে পড়ে তার।
শরণার্থী শিবিরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাভাবিক জীবন আর শান্তি খুঁজতে থাকেন তিনি। প্রতিদিনই খাবার, পানি ও আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।
মিনারাকে ঘিরে লরেন অ্যান্ডার্স ব্রাউন বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্যচিত্র ‘শান্তি খানা’। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য ৭২তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শর্টফিল্ম কর্নারে স্থান পেয়েছে এটি। এর ইংরেজি নাম ‘অ্যা প্লেস অব পিস’।
২৮ মিনিট ব্যাপ্তির এই ছবির ধারাবর্ণনা করেছেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাশলে জাড। গোল্ডেন গ্লোব ও এমি মনোনয়ন আছে তার ঝুলিতে। হলিউডের নিন্দিত প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা নারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) পক্ষে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন দেখতে এসেছিলেন ৫১ বছর বয়সী এই তারকা।
Highlighting gender based violence and reproductive health needs for Rohingya women, the documentary #ShantiKhana premiered this past weekend at @GHFilm.
— ashley judd (@AshleyJudd) December 13, 2018
Thank you @LABCollaborate @UNFPABangladesh @UNFPA for supporting Rohingya women. pic.twitter.com/zwx0s4ACcv
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল হেলথ চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে ‘শান্তি খানা’। লন্ডনের বাসিন্দা লরেন অ্যান্ডারসন ব্রাউন নিজেই এর ক্যামেরা চালিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ আর আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করে থাকেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল সিনেমাটোগ্রাফার’স গিল্ডের সদস্য তিনি। বিশ্বের ২৫টি দেশে গিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে জোরপূর্বক অভিবাসন বিষয়ক কোর্সে অংশ নেন এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা।
টুইটারে লরেন বলেছেন, ‘প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করতে পারা আমার জন্য সম্মানের। রোহিঙ্গা নারী মিনারা আমাকে তাদের জীবন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর শরণার্থীদের কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে দিয়েছেন অ্যাশলে জাড।’
এবারের কান উৎসবের শর্টফিল্ম কর্নারে রাখা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ৯২৪টি ছোট দৈর্ঘ্যের ছবি। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আছে আশরাফ শিশির পরিচালিত ‘যুদ্ধটা ছিল স্বাধীনতার’।