X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে আমার লক্ষ্য গানটা ঠিকমতো গাওয়া: নোবেল

তানিয়া রহমান
২৩ জুন ২০১৯, ১৩:৫৫আপডেট : ২৩ জুন ২০১৯, ১৬:২৬

তুলির আঁচড়ে নোবেল খুব অল্প কথার মানুষ নোবেল। হাসেনও মিটিমিটি মেপে-মেপে। বিপরীতে দুই বাংলাতেই তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঢল বইছে লম্বা সময় ধরে। এসব বিষয়েও তার মধ্যে নেই বাড়তি প্রতিক্রিয়া।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার গান বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‌‌‘সারেগামাপা’র মাধ্যমে বাংলা সংগীতের নতুন বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ মাঈনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি অনুষ্ঠানটির চূড়ান্ত পর্বের শুটিংয়ের আগে এসেছেন ঢাকা, বাংলাদেশে। ধানমন্ডির একটি স্টুডিওতে বসে তার সঙ্গে কথা হলো বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধির।
বাংলা ট্রিবিউন: অনেক দিন ধরেই টিভি পর্দায় ‘সারেগামাপা’ চলছে। ক্লান্ত লাগছে না?
নোবেল: আমার তো সবসময় গান গাইতেই ভালো লাগে। বরং গাইতে না পারলে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আর পুরো শোটি তো জি বাংলার দায়িত্বে। তারা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই চলবে। আমরাও চলছি। ভালোই লাগছে।
বাংলা ট্রিবিউন: শেষ হচ্ছে কবে এই সফর?
নোবেল: এবার কলকাতা গিয়েই আমাদের শেষ ধাপের শুটিং হবে। আগামী সপ্তাহে আমি যাচ্ছি, মানে চলতি জুনের শেষ দিকে। তখনই গ্র্যান্ড ফিনালে হবে। তবে দর্শক সেটি পর্দায় দেখবেন আগামী মাসের (জুলাই) শেষ দিকে।
বাংলা ট্রিবিউন: গ্র্যান্ড ফিনালে নিয়ে কি ভয় হচ্ছে? চ্যাম্পিয়ন হবেন তো?

নোবেল: গ্র্যান্ড ফিনালে নিয়ে মোটেও আমি চিন্তিত নই। কারণ, ভয় বা চিন্তা করলে আমি ঠিকঠাক গান করতে পারবো না। মনোযোগ দিতে পারবো না। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে আমার লক্ষ্য গানটা ঠিকমতো গাওয়া। সেটা যেকোনও মঞ্চে অথবা আসরে কিংবা স্টুডিওতে অথবা আড্ডায়।
নোবেল বাংলা ট্রিবিউন: অনেক দিন আপনি কলকাতায়। সারেগামাপা-তে একের পর এক গান করছেন। তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কলকাতার এই দীর্ঘ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন?
নোবেল: আমি খুবই আনন্দিত এরকম একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিতে পেরে। সবাই আমার গায়কী পছন্দ করছেন। গান পছন্দ করছেন। এটা আমার ভাগ্য। আসলে ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে আমার বেড়ে ওঠা। এ কারণে পড়াশোনাও বেশিদূর করিনি। এই না করার জন্য আমার মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই।
তো সারেগামাপা’তে যাওয়ার আগে থেকেই সারাক্ষণ গান নিয়েই পড়ে থাকতাম। তারপর সারেগামাপা’য় কয়েকধাপের অডিশন দিয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে সবাই আমাকে খুব স্নেহ  করেন। তিন বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্রী ও মোনালী ঠাকুর, উপস্থাপক যিশু সেনগুপ্ত এবং সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের পরামর্শ দেন, সবসময়। সামনের দিনগুলোতে সেগুলো খুব কাজে লাগবে আমার।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনি তো বাংলাদেশের জনপ্রিয় গানগুলো গাইছেন। বিশেষ করে রক গান। এ কারণেই কি বেশি সাড়া পাচ্ছেন?

নোবেল: দেখুন, প্রতিযোগিতায় তো মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণেই জনপ্রিয় গানগুলো করতে হয়। আমি তাও মৌলিক গান করেছি। গত সপ্তাহে শ্রীজাতের লেখা, শান্তনু মৈত্রীর সুর করা ‘আগুনপাখি’ গানটা করলাম। সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। তবে আমি যেহেতু বাংলাদেশের শিল্পী তাই বাংলাদেশের শিল্পীদের গানই বেশি করেছি।


বাংলা ট্রিবিউন: আসছে দিন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কেমন?

নোবেল: আমার নতুন গান রেডি হচ্ছে। কলকাতার ফকিরা ব্যান্ডের সদস্য বান্টি বাংলাদেশে এসেছেন। তার সঙ্গে বসে নিজের জন্য গান তৈরি করছি। গানগুলো ধীরে ধীরে রিলিজ করবো। আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে আট লাখের বেশি সাবসক্রাইবার। সেখানেই গানগুলো উন্মুক্ত করার চিন্তাভাবনা। এছাড়া প্লেব্যাক করারও ইচ্ছা আছে। তবে আমার গান করার বিষয়ে প্রথম কথা হলো, গানটা ভালো হতে হবে। আমার পছন্দ হতে হবে। না হলে সেই গান আমি করতে পারবো না। যারা আমাকে নিয়ে গান করাতে চান, সবার কাছে এই অনুরোধটা করে রাখছি, বিনয়ের সঙ্গেই।


বাংলা ট্রিবিউন: এরইমধ্যে আপনার একটা ব্যান্ডও হয়েছে? নাম ‘নোবেলম্যান’। সেটা নিয়ে পরিকল্পনা কেমন?

নোবেল: এটা নিয়ে এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শো করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। এখন তো মাত্র শুরু। দেখা যাক না। সময় বলে দেবে কী হয়।
বাংলা ট্রিবিউন: দুই বাংলাতে আপনার এখন প্রচুর ভক্ত। তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
নোবেল: হ্যাঁ। ভক্তদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন ভালো গান ভালোভাবে গাইতে পারি, শেষ পর্যন্ত।

/টিআর/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল তিন বিভাগে কোন কোন দেশের ছবি
কান উৎসব ২০২৪কানের সমান্তরাল তিন বিভাগে কোন কোন দেশের ছবি
চীনে মুক্তি, নতুন ইতিহাস গড়বে ‘টুয়েলভথ ফেল’?
চীনে মুক্তি, নতুন ইতিহাস গড়বে ‘টুয়েলভথ ফেল’?
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কোন পদে লড়ছেন কে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কোন পদে লড়ছেন কে
রাজকুমার: ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এক বিয়োগান্তক ছবি
সিনেমা সমালোচনারাজকুমার: ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এক বিয়োগান্তক ছবি