ঐশ্বরিয়া: বিশ্বসুন্দরী, অভিনেত্রী ও সুপারমম

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয়ের পর অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে তারকা অভিনেত্রী, আন্তর্জাতিক আইকন, জনদরদি-পরোপকারী ও সবচেয়ে প্রিয় পরিচয় মা। বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ভাবা হয় তাকেই।
শুধু তাই নয়, বিশ্বজয়ের স্বপ্নপূরণে সারাবিশ্বে নারীদের কাছে অ্যাশ এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আজ ১ নভেম্বর তার ৪৬তম জন্মদিন। তার একটি ঝলমলে ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন স্বামী অভিষেক বচ্চন। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রিন্সিপেসা’। এর বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘রাজকুমারী’।
স্বামী ও মেয়ে আরাধ্যর সঙ্গে অ্যাশ এখন ইতালির রোমে। লঙ্গিনেস ঘড়ির দূতিয়ালি করার পাশাপাশি কাটছে তার ‘রোমান হলিডে'। জন্মদিনে একনজরে তাকে দেখে নেওয়া যাক।
সুপারস্টার ঐশ্বরিয়া
১৯৯৭ সালে বলিউডে অভিষেকের পর থেকে সৌন্দর্যপূজারীদের সম্মোহিত করে আসছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। একইসঙ্গে অসাধারণ অভিনয় ও নাচে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। শুধু ভারতীয়দের কাছেই নয়, তার কাজে মুগ্ধ হয়েছে সারাবিশ্ব। হলিউডের ছবির সুবাদে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এসেছে তার মুঠোয়। বড় পর্দার পর ধীরে ধীরে বিজ্ঞাপন ভুবনে নিজের রাজত্ব কায়েম করেন তিনি।
দায়িত্বশীল মায়ের প্রতিমূর্তি
জীবনে অনেক দায়িত্ব স্বাচ্ছন্দ্যে পালন করেছেন ঐশ্বরিয়া। এখন সবচেয়ে উপভোগ করছেন মায়ের কর্তব্য। মেয়ে আরাধ্যর স্কুলের সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন তিনি। একইসঙ্গে কান উৎসবের লালগালিচা থেকে শুরু করে সবখানে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যান। বিখ্যাত অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অ্যাশ। ঝলমলে জীবনের বাইরে সবসময় মেয়ে ও পরিবারের বিরুদ্ধে নিন্দুকদের বিভিন্ন মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি।
পরিবার সবার আগে
ঐশ্বরিয়ার কাছে পরিবার সবসময় সবার আগে। যত দূরত্বই হোক, উৎসব-পার্বণে ঠিকই সময়মতো পরিবারের কাছে চলে আসেন তিনি। তার কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কখনও বাড়িতে বিশেষ দিনগুলো কিংবা জন্মদিন উদযাপনের সুযোগ না থাকলে দারুণ সময় কাটাতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যান। তাদের নিয়ে ব্যস্ততার ফাঁকে সৈকতে বসে সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন।
আন্তর্জাতিক আইকন
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ের গৌরবময় মুহূর্ত থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা বলিউডের সবচেয়ে বড় তারকাদের অন্যতম ঐশ্বরিয়া। তার সৌন্দর্য আকর্ষণ করেছে কোটি কোটি মানুষকে। সেই সঙ্গে কান উৎসবের নিয়মিত মুখ, হলিউডের ছবিতে অভিনয়, টক শো ও ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণসহ বিখ্যাত পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তার খ্যাতির যেন কোনও সীমান্ত নেই!
সুন্দর মনের মানুষ
শুধু বাইরের সৌন্দর্যই নয়, মনের দিক দিয়েও সুন্দর ঐশ্বরিয়া। সমাজের বিভিন্ন ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে নিজের আন্তর্জাতিক খ্যাতিকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ভারতে পোলিও নির্মূলে সচেতনতামূলক কাজ করেছেন। এছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদেরও দৃষ্টিদানে উৎসাহিত করেন তিনি।