এর আগেও লালনের গান কণ্ঠে তুলেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তবে সেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মতোই। চলচ্চিত্র এবং অডিও অ্যালবাম মিলিয়ে সংখ্যায় তিন কি চারটি গান হবে, এখন সেসব ঠিক মনেও করতে পারছেন না। দীর্ঘ সংগীত জীবনের এ প্রান্তে এসে কিংবদন্তি এই কণ্ঠশিল্পী এবার লালনের ১০টি গান দিয়ে সাজাচ্ছেন নিজের নতুন একক অ্যালবাম।

সে লক্ষ্যে অনেকটা নীরবে বেশ কটি গানের রেকর্ডিংও এগিয়েছেন। তবে অ্যালবামের নাম কিংবা প্রকাশের দিনক্ষন এখনও চূড়ান্ত করেননি। তথ্য হিসেবে এটুকু জানালেন, অ্যালবামের ১০ গানের মধ্যে যায়গা পাচ্ছে- ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘কবে সাধুর চরণধূলি’, ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘রাত পোহালে পাখি বলে’, ‘সত্য বল সুপথে চল’, ‘ক্ষম অপরাধ’, ‘চরণ ছেড় না ছেড় না’, ‘বড় সংকটে পড়িয়া দয়াল’, এবং ‘পাড়ে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়’। কথা-সুর শতভাগ ঠিক রেখে সবগুলো গানের সংগীতায়োজন করেছেন ওই বাংলার রকেট মণ্ডল।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে কলকাতা গিয়েছিলাম। রকেট মণ্ডলের কাছ থেকে সবগুলো গানের মিউজিক ট্র্যাক হাতে নিয়েই ঢাকায় ফিরলাম। এখন ট্র্যাক ধরে চলছে প্র্যাকটিস এবং রেকর্ডিং। সময় নিয়ে গানগুলো রেকর্ড করছি ইমপ্রেস অডিও ভিশনের স্টুডিওতে। চারটি গানের কাজ এরমধ্যেই শেষ। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করতে পারব।’  

কিন্তু হঠাৎ লালনের গান দিয়ে পুরো অ্যালবাম, কোন ভাবনা থেকে? জবাবে আধুনিক বাংলা গানের এই যশস্বী শিল্পী বলেন, ‘সত্যি বলতে লালনের গান আমাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। তাছাড়া আমার গানে যখন হাতেখড়ি- তখন থেকেই লালন সাঁইয়ের গান কণ্ঠে তুলেছি। ফলে এতদিন সেভাবে লালন সাঁইয়ের গান না গাইলেও তার গান আমার সঙ্গেই ছিল সবসময়।’

জানা গেছে, ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে সাবিনা ইয়াসমিনের এই একমাত্র লালন সংগীতের অ্যালবামটি প্রকাশ পাবে ২০১৬-এর প্রথমদিকে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালে প্রকাশ পায় তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘তুমি সন্ধ্যা দীপের শিখা’।

/এমএম/