ফাগুনের রং বাড়াতেই যেন এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের নামও তাই ‘রবির রঙে’।
ফাগুনের সন্ধ্যা রাঙাতে ঘরোয়া এ আয়োজন করা হয়। যেখানে রং ছিটিয়েছেন দুই বাংলার শিল্পীরা। কলকাতার অ্যারিনা মুখার্জী রায় ও র্শীষ রায়। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন আমিনা আহমেদ, মিন্টু কৃষ্ণ পাল, গোলাম হায়দার, তাপস দত্ত ও সাদিয়া শরীফ বৈশাখী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি মীনা হাউজে অনুষ্ঠানের শুরুটা ছিল আমিনা আহমেদের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে রাগের মিশ্রণ। এতে সঙ্গত করেন মিন্টু কৃষ্ণ পাল।
এরপরই গোলাম হায়দার তিনটি রবীন্দ্রসংগীত শোনান। পরপরই ছিল আরও একটি রাগের পরিবেশনা। এর শিল্পী মিন্টু কৃষ্ণ পাল ও সাদিয়া শরীফ বৈশাখী। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজক মীনা ট্রাস্টের অন্যতম পথিকৃত কাজী শাহেদ আহমেদের অনুরোধে মঞ্চে আসেন দর্শক সারিতে বসা ওস্তাদ প্রবাসী সংগীতবোদ্ধা তপন কান্তি বৈদ্য।
তার ছিল রাগের পরিবেশনা। উপস্থিত দর্শকদের মজা দিতেই তিনি যেন শুরু করেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান দিয়ে উচ্চাঙ্গ সংগীত।
এর আগে মীনা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমিনা আহমেদ বলেন, ‘দেশের উচ্চাঙ্গ সংগীত নিয়ে আয়োজন এখন কমে যাচ্ছে। এটি যে কতোটা জরুরি তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। আর আমাদের ঘরোয়া এ আয়োজনের উদ্দেশ্য উচ্চাঙ্গ সংগীত তথা শাস্ত্রীয় ও শুদ্ধ গানের চর্চা ও প্রসার। আমি আহ্বান জানাবো, এখানে আগত অতিথিরাও নিজেদের মতো করে ঘরোয়া আয়োজন করবেন। কারণ এটা জরুরি আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য।’
এর আগে বাংলাদেশের শিল্পী তাপস দত্তের ধ্রুপদ পরিবেশনা ছিল। আর শেষভাগে আসেন কলকাতা থেকে আগত অতিথিরা।
অ্যারিনা মুখার্জী রায় ও শীর্ষ রায়ের গানগুলো ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসন্ত পর্যায়ের গান দিয়ে সাজানো। অনুমতি নিয়েই তারা একটি করে নজরুল, লোকগানও পরিবেশন করেন।
আর অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাঙা গান ‘আজি এ বসন্ত’ ও তার ইংরেজি সংস্করণ দিয়ে। এতে অংশ নেন উপস্থিত দুই বাংলার সব শিল্পীরা।
ছবি তুলেছেন: নাসিরুল ইসলাম
/এম/এমএম/