প্রথম বছর পূর্ণ করলো সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জলতরঙ্গ’। বর্ষপূর্তিতে এ সংগঠনের আয়োজনটাও ছিল নজরকাড়া। স্বাধীনতার মাসে তাদের এ আয়োজন যেনো বাড়তি মাত্রা যোগ করলো। গানে গানে প্রকাশ পেলো বাংলার ‘রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট’।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তন মিলনায়তনে ‘জলতরঙ্গ’ আয়োজন করেছিল গীতি-আলেখ্য। এতে ইতিহাসের সূত্র ধরে দেশ ভাগ, ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো উঠে এসেছে ধারাবাহিকভাবে। তাতে ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘গাঁয়ের বধূ’, ‘আর দোবো না রক্তে বোনা ধান’, ‘আলোর পথযাত্রী’, ‘হেই সামালো’, ‘অবাক পৃথিবী’সহ প্রভৃতি গান। ছিল কবিতাও।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই আমার আত্মীয়। সংগীত এমন একটি মন্ত্র, যা সবাইকে আপন করে নেয়। যদিও আমাদের মাঝে সংগীত চর্চার বিষয়টি আর আগের মতো নেই। এক সময় ভোর হলেই গানের রেওয়াজ শোনা যেত। এখন আর যায় না। শিল্পকলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বাণিজ্য। একসময় যেকোনও সংগ্রামে গান তৈরি হতো। এখন সংগ্রাম নেই, গানও হচ্ছে না। চলছে দুর্বৃত্তের আধিপত্য। চলছে ভোগ-বিলাস।’
জলতরঙ্গের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গানের মাধ্যমে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়। এ সংগঠন সেটা করবে, সেটাই আমার প্রত্যাশা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক আশফাকুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাকির হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রবিরাগের সভাপতি আমিনা আহমেদ। এদিকে উপস্থিত থাকতে না পারা আরেক অতিথি শিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কন্যা প্রয়াত হওয়ায় শিল্পীর প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন আয়োজকেরা।
ভিন্নমাত্রার এই গীতি-আলেখ্য শেষ হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।
/এমএম/