‘কাজের প্রতি মায়ের অন্যরকম ঝোক ছিল। চলচ্চিত্রের মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা মায়ের ছিল, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এমন হয়েছে, মা অসুস্থ অবস্থায় কাজ করতে চাইত। মা অসুস্থ হওয়ার পরেও একবার সারাদিন এফডিসিতে ছিল। অসুস্থতার বিষয়টি কাউকে বুঝতে দেয়নি। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাই।’
কথাগুলো বলছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী। এসময় পাশে ছিল তার ভাই দীপ্ত।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থাতে (বিএফডিসি) পারভীন সুলতানা দিতির দ্বিতীয় নামাজে জানাজার আগে কথাগুলো বলেন তিনি। সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে এ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
জানাজায় সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেতা আলমগীর, ওমর সানী, হেলাল খান, মিজু আহমেদ, রুবেল, অভিনেত্রী চম্পা, নাসরিন, সংগীতশিল্পী মনির খান, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরণসহ অনেকে।
এরপর লাশ মরহুমার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ জোহর শেষ জানাজার পর দিতিকে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী রবিবার বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান। তার আগে টানা আট মাস তিনি যুদ্ধ করেছেন জীবনঘাতী ক্যানসারের সঙ্গে।
সেদিন বাদ এশা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে মরহুমার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ রাখা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। সোমবার সকালে গুলশানের বাসা হয়ে প্রয়াতকে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে আনা হয়।
/এম/