পূর্ব খান ইউনিসে আবারও তাণ্ডব চালালো ইসরায়েলি সেনারা। সোমবার (২২ এপ্রিল) দক্ষিণ গাজা উপত্যকার প্রধান এই শহরটিতে আবারও হামলা চালিয়েছে তারা। ফলে ধ্বংস্তুপের পরিণত এই শহরটিতে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা আবারও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
খান ইউনিসের অন্য আরেকটি স্থানে শহরটির প্রধান হাসপাতাল ছিল যেটি এখন পরিত্যক্ত। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানকার একটি গণকবর থেকে আরও অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই হাসপাতালের আরও দক্ষিণে রাফাহ শহরে সদ্য বিমান হামলার খবর পেয়েছে রয়টার্স। সেখানে উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দাদের অর্ধেকেরও বেশি আশ্রয় নিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় টানা সাত মাস ধরে চলছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত। যুদ্ধ চলাকালীন সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের পর একটি চুক্তির আওতায় চলতি মাসে দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে বেশিরভাগ সেনাকে সরিয়ে নেয় ইসরায়েল। তখন গাজার বাসিন্দারা উপত্যকাটির দ্বিতীয়-বৃহত্তম খান ইউনিস শহরে ফিরতে ফেরা শুরু করে। সেখানে ধ্বংসস্তূপেরে পরিণত হওয়া বাড়িগুলোকে খুঁজে বের করে তারা।
তবে ভাঙ্গা কুটিরে আর আশ্রয় নেওয়া হলো না তাদের। ইতোমধ্যেই সেখানে আবারও হামলা চালালো ইসরায়েলি। প্রাণভয়ে যেখান থেকে ফিরে এসেছিল আশ্রয়ের খোঁজে সেখানেই আবার পালালো অনেকে।
খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ৪২ বছর বয়সী আহমেদ রেজিক। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আজ সকালে অনেক পরিবার ফিরে এসেছে। তারা গত দুই সপ্তাহ আগে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য এখান থেকে চলে গিয়েছিল। তাদের খুব ভীত দেখাচ্ছিল।’
৭ অক্টোবর সীমান্তের বেড়া পেরিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা। সশস্ত্র যোদ্ধাদের এই হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষ নিহত হন। এসময় যোদ্ধারা ২৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় সেখানে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের শুরু করা এই হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও হাজার হাজার মানুষের মরদেহ ধ্বংসস্তূপে হারিয়ে গেছে।