মস্কোয় কনসার্টে বন্দুক হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনা এক সপ্তাহে গড়ালেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৯৫ জন। তাদের নামের তালিকা নিহত বা আহতদের তালিকাতেও নেই। নিখোঁজ এসব আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে ছুটোছুটি করছেন তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশ করেছে একটি রুশ বার্তা সংস্থা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ক্রোকাস সিটি হলের হামলায় সরকারিভাবে ১৪০ জন নিহত এবং আরও ১৮২ জন আহত হওয়ার রেকর্ড নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তবে বাজা নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, নিখোঁজ আত্মীয়-স্বজনদের সম্পর্কে মানুষের আবেদনের ভিত্তিতে জরুরি পরিষেবা যে তালিকা তৈরি করেছে সেখানে আরও ৯৫ জন মানুষের নাম রয়েছে। সংস্থাটির রাশিয়ার নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘এই তালিকায় এমন মানুষ রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসি হামলার পর থেকে তাদের আত্মীয়রা আর যোগাযোগ করতে পারেনি। তবে আহত বা নিহতদের তালিকায় তাদের নাম নেই।
বাজা বলেছে, ‘এরমধ্যে কিছু মানুষ নিহতও হয়েছে। তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।’
রাশিয়ার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কালাশনিকভ নামের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে চার শ্যুটার এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
জরুরী পরিষেবা সূত্র নজরদারি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাজা জানিয়েছিল, সোভিয়েত যুগের রক গ্রুপ ‘পিকনিক’ তাদের কনসার্ট শুরুর কিছুক্ষণ আগে ওই শ্যুটাররা গুলি ছোড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন হলটিতে ৬ হাজার ২০০ মানুষ অবস্থান করছিলেন। শনিবার এই খবর প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি।
শ্যুটিংয়ের পর থেকে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদনে সরব ছিল।
‘ক্রোকাস ডট হেল্প সেন্টার’ নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে নিখোঁজদের বন্ধু এবং আত্মীয়রা তাদরে নাম শেয়ার করে সন্ধান জানার চেষ্টা করছেন।
শনিবার রাতে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তালিকায় কি ইগর ভ্যালেন্টিনোভিচ ক্লিমেনচেঙ্কো নামে কেউ ছিলেন? কেউ কি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠাতে পারবেন?’
রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিশ্চিত করা নিহতদের তালিকায় ক্লিমেনচেঙ্কোর নাম ছিল না।