চীনের সামরিক মহড়ার জন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে তাইওয়ান। চলতি মাসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে এর অভিষেক অনুষ্ঠানের পর বড় ধরনের সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে চীন। সাধারণত জুন মাসে এ ধরনের মহড়া শুরু করে দেশটি। বুধবার (১ মে) এ কথা জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছেন।
তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন, যেটি বরাবরেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। তাইওয়ানের নেতা লাইকে খুবই অপছন্দ করে চীন। লাইকে একজন বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে বিশ্বাস করে দেশটি। তার দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে চীনা সরকারা। এর মধ্যে সর্বশেষ গত সপ্তাহেও লাইয়ের দেওয়া একটি আলোচনার প্রস্তাবও রয়েছে।
তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের মতো লাইও চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। উভয় নেতাই মনে করেন, শুধু দ্বীপবাসীরাই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারেন।
বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন লাই। ২০ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেক হবে।
পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর মহাপরিচালক সাই মিং-ইয়েন বলেছেন, চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা দরকার।
সাই বলেন, এই মুহুর্তে চীন তাইওয়ানের নতুন সরকারের চীন নীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘যে বিষয়ে এখন বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন তা হলো, ২০ মে এর পর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কাল। সেসময় চীনা কমিউনিস্টরা তাদের নিয়মিত সামরিক মহড়া শুরু করে।’
তিনি বলেছিলেন, ‘তাইওয়ানকে আরও চাপ দেওয়ার জন্য কিছু সামরিক মহড়া চালানোর অজুহাতে চীনা কমিউনিস্টরা এই সময়টিকে ব্যবহার করে কিনা তা দেখাই এখন মূল বিষয়। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো এটি নজরে রেখেছে।’
এ বিষয়ে বুধবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগ করা হলে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স। উল্লেখ্য, আজ বিশ্ব শ্রম দিবসের ছুটি চলছে।
গত চার বছরে তাইওয়ানের আশেপাশে ব্যাপকভাবে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী।