দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে উত্তর কোরিয়া। এমন আশঙ্কার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২ মে) কূটনৈতিক সতর্কতা বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশটির পাঁচটি কূটনৈতিক অফিসে সন্ত্রাস সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কম্বোডিয়া, কূটনৈতিক সতর্ককতার আওতায় লাওস এবং ভিয়েতনাম, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক এবং চীনের শেনিয়াংয়ে সিউলের দূতাবাস রয়েছে। সন্ত্রাসের এই সতর্কতাটি দক্ষিণ কোরিয়ার সতর্কতার চারটি শ্রেণিবিন্যাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, যা আক্রমণের সম্ভাবনা শক্তিশালী বলে ইঙ্গিত দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস) পৃথকভাবে বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়া আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন ইঙ্গিত রয়েছে।’ তবে হুমকির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি এনআইএস।
এনআইএস। আরও বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মিশনের উপর নজরদারি জোরদার করতে সেসব দেশে এজেন্টও পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
লন্ডনে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
তবে এই অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধীদের অসম্মান করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কূটনৈতিক অফিস এবং কর্মকর্তাদের সুরক্ষার নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেছে দেশটির ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার।
শীতল যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সিউল বিমানবন্দরে বোমা হামলা এবং ১৯৮০-এর দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানসহ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়াকে পুনরায় সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের তালিকাভূক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ।