ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখন সরগরম। ভারতে সাত দফার ম্যারাথন ভোটপর্বে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, বাকি আছে আরও পাঁচ।
তবে সারা দেশে মোট যে ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট হচ্ছে, গত ১৯ ও ২৬ এপ্রিল প্রথম দুই দফাতেই তার মধ্যে ১৯১টিতে – অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে – ভোটের পালা সাঙ্গ। আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) তৃতীয় দফার ভোটে আরও ৯৪টি আসনে নির্বাচন হবে, ফলে ততদিনে দেশের অর্ধেকেরও বেশি আসনে ভোট মিটে যাবে।
এরপর আগামী ৪ জুন (মঙ্গলবার) সারা দেশের ভোট গণনা হবে একই সঙ্গে, আশা করা হচ্ছে ওই দিন দুপুরের মধ্যেই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে কারা দেশে পরবর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে।
এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায় নজিরবিহীনভাবে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই জানিয়েছিলেন, ভোটে তার দল চারশোরও বেশি আসন পাবে– স্লোগান দিয়েছিলেন ‘আবকি বার, চারশো পার!’ পরে অবশ্য একটু ভেঙে ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, বিজেপি এককভাবে পাবে ৩৭০টি আসন – আর তাদের এনডিএ জোটের অন্য শরিক দলগুলোকে ধরে মোট আসন চারশো অতিক্রম করে যাবে।
ওই সময় অযোধ্যায় রামমন্দিরের সদ্য উদ্বোধনের পর গোটা দেশে যে ধরনের আবেগ ও উন্মাদনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, তাতে ওই দাবিকে কিন্তু খুব একটা অবাস্তব মনেও হচ্ছিল না। মনে করা হচ্ছিল মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জোটের আর একটি বিপুল জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা!
কিন্তু প্রথম দু’টি দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পর ভারতের রাজনৈতিক হাওয়া কিন্তু একটু অন্য খাতে বইছে বলেই মনে হচ্ছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রচারে হঠাৎ করে ফিরে এসেছে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি– অন্য দিকে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র কণ্ঠস্বরেও শোনা যাচ্ছে আত্মবিশ্বাসের সুর। দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও অনেকেই বলছেন, চারশো তো দূরের কথা – বিজেপি গতবারে তাদের জেতা ৩০৩টি আসন ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটা নিয়েও এখন সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবেও কী অবস্থাটা সে রকমই? বিজেপির নেতাকর্মীরা বা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি সত্যিই ভোটের গতিপ্রকৃতি নিয়ে চিন্তিত?
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাংলা ট্রিবিউন দিল্লিতে কথা বলেছে বিজেপি শিবিরের ঘনিষ্ঠ বিশ্লেষক ড. শুভ্রকমল দত্তের সঙ্গে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির বিশ্লেষক ড. দত্ত নিজেকে ‘রাইট উইং’ বা দক্ষিণপন্থি বলে পরিচয় দেন – এবং বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও সুবিদিত। নির্বাচনি পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ সাক্ষাৎকারের সারাংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
বাংলা ট্রিবিউন: নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে ভোট হয়ে গেছে। বিজেপির ‘চারশো পারে’র লক্ষ্য কি এখনও জারি আছে? না কি বিজেপি নেতারা টেনশনে ভুগছেন?
শুভ্রকমল দত্ত: এনডিএ জোটের চারশোর বেশি আসন পাওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। সেই প্ল্যান পুরোপুরি ঠিকমতোই এগোচ্ছে। তবে এককভাবে বিজেপি হয়তো ৩৫০ থেকে ৩৭০-র মাঝামাঝি আসন পাবে বলে মনে হচ্ছে। আর এর পেছনে একটা বড় কারণ হলো বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ এখনও ছন্নছাড়া আবস্থায়– প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাদের কোনও মুখ নেই, ওই দলগুলোর কোনও ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম’ বা অভিন্ন কর্মসূচি পর্যন্ত নেই। জোটের এক একটা দল পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে আর বিবৃতি দিচ্ছে, ওদিকে মিডিয়ার সামনে সাজানো হাতধরাধরির ছবি তুলে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। বিরোধী শিবিরের এই দশা হলে বিজেপির অন্তত সাড়ে তিনশো আসন না-পাওয়ার কোনও কারণই নেই।
বাংলা ট্রিবিউন: প্রথম দুই দফার নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল অস্বাভাবিক কম – বস্তুত গতবারের চেয়ে এবারে প্রায় ৫-৬% ভোট কম পড়েছে। এটা কি কোনও বিশেষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যাবে? এর কারণ কী হতে পারে?
শুভ্রকমল দত্ত: ভোটে টার্ন-আউট কম হওয়ার প্রধান কারণ সারা দেশ জুড়ে অত্যধিক গরম আর তাপপ্রবাহ। তবে আমি মনে করি না শতকরা ৫ বা ৬ ভাগ ভোট কম পড়লে বিজেপি বা এনডিএ-র ফলাফলে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে। কারণ মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির অ্যাপ্রুভাল রেটিং বা জনপ্রিয়তা এখন সর্বকালের সেরা! আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের এখন যে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি, তার প্রধান কারিগর হিসেবে মানুষ মোদিজিকেই দেখছেন এবং ভোট যখন দেশের জন্য– তখন চোখ বন্ধ করে তার ওপরেই আস্থা রাখছেন।
বাংলা ট্রিবিউন: প্রধানমন্ত্রী মোদি তার নির্বাচনি জনসভায় হঠাৎ করে কেন কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মানুষের ধনসম্পদ কেড়ে নিয়ে অন্যদের বিলিয়ে দেবে, মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, উত্তরাধিকার কর চাপাবে – এইসব কথা বলছেন? বিজেপির স্ট্র্যাটেজি কি আচমকা বদলে গেছে?
শুভ্রকমল দত্ত: না না, বিষয়টা মোটেই তা নয়। সম্পদের পুনর্বণ্টন বা উত্তরাধিকার করের কথা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আকাশ থেকে পেড়ে দুম করে বলছেন না, বা এইসব কাহিনি তিনি মোটেই বানাননি। কংগ্রেসের এই ধরনের নীতির কথা পাবলিক ডোমেইনেই আছে, তাদের নেতা রাহুল গান্ধীও সংবাদমাধ্যমের কাছে বা মানুষের কাছে বহুবার বলেছেন। এমন কী কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতেহারেও এই বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে। অতীতেও শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা এই সব ইস্যুতে কথা বলেছেন এবং ঘোষণা করেছেন তারা ক্ষমতায় এলে এই নীতিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর ভোটে যেহেতু লড়াই হবে দুটো দলের নীতির প্রশ্নে– তাই প্রধানমন্ত্রীর এই প্রসঙ্গগুলো উত্থাপন করায় অস্বাভাবিক কিছু নেই।
বাংলা ট্রিবিউন: প্রধানমন্ত্রী মোদি বিজেপির জন্য ৩৭০ আসনের খুবই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। তবে আমরা জানি, পুরো হিন্দি বলয়ে ও পশ্চিম ভারতে বিজেপি ইতোমধ্যে প্রায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে জিতে বসে আছে – ফলে সেখান থেকে আসন বাড়ানো প্রায় অসম্ভব। দক্ষিণ ভারত আবার বরাবরই বিজেপির জন্য দুর্বল জায়গা। তাহলে দেশের কোথায় তারা আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে? আর সেটা কীভাবেই বা সম্ভব?
শুভ্রকমল দত্ত: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিজেপির জন্য ৩৭০-র যে টার্গেট দিয়েছেন, সেটাকে আমি মোটেও উচ্চাভিলাষী বা অবাস্তব মনে করি না। ২০১৯-এও কেউ ভাবতে পারেনি বিজেপি একাই তিনশোর বেশি আসন পাবে। এবারে তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রো-ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর, ফলে বিজেপির জনসমর্থন ও আসন সংখ্যা দুটোই বাড়বে। আর একটা জিনিস মিলিয়ে নেবেন, পূর্ব ভারতে (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা) ও দক্ষিণ ভারতে বিজেপি এবার ঐতিহাসিক ফল করবে ও রেকর্ড সংখ্যক আসন পাবে – তার সঙ্গে উত্তর, পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখবে। ফলে ৩৭০-এর লক্ষ্যে পৌঁছনো খুবই সম্ভব।
বাংলা ট্রিবিউন: যদি পশ্চিমবঙ্গের কথায় আসি, তাহলে ওই রাজ্যে কি বিজেপি তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্যের আবসান ঘটাতে পারবে? না কি এবারেও ২০২১-র মতো আপনাদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি হবে? বিজেপি তো এখনও ওই রাজ্যে ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সত্যিকারের কোনও চ্যালেঞ্জারই তুলে আনতে পারেনি ...
শুভ্রকমল দত্ত: পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য, যেখানে বিজেপি এবারে অপ্রত্যাশিত রকম ভালো ফল করতে চলেছে। তার কারণও আছে। তৃণমূলের চরম দুর্নীতি, অপশাসন, বেকারত্ব, রাজনৈতিক হত্যা এবং তারপর সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূলের গুন্ডারা নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত– সেগুলো সব সামনে আসার পর মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। খুন-ধর্ষণ-রাজনৈতিক হিংসায় পশ্চিমবঙ্গ শুধু সারা দেশের মধ্যেই শীর্ষে নয়, সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতিও সেখানে সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এই কারণেই এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের ‘ওয়াটারলু’-তে পরিণত হবে। বিজেপি এবার ওই রাজ্যে অস্বাভাবিক ভালো ফল করবে, আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।
বাংলা ট্রিবিউন: আবারও চারশো আসনের প্রসঙ্গে ফিরে আসি ... বিজেপি জোট কেন এত বিপুল সংখ্যক আসনে জেতার লক্ষ্য স্থির করেছে? এত গরিষ্ঠতা নিয়ে তারা করবেটা কী? সংবিধান সংশোধন? তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সংরক্ষণ বা ইউসিসি (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) নিয়েও কি কিছু করার পরিকল্পনা আছে?
শুভ্রকমল দত্ত: প্রথমেই একটা জিনিস স্পষ্ট বলে নিতে চাই, বিজেপি এই নির্বাচনে চারশো আসন পাক বা না-পাক, জেতার পর তফসিলি জাতি-উপজাতি (এসসি, এসটি) বা পশ্চাৎপদ শ্রেণির (ওবিসি) জন্য সংরক্ষণে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। তাদের এই অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ– যেটা এই দেশের সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি– শুধু সেটা বিজেপি কখনোই করতে দেবে না। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, তারপরও বিজেপি চারশো আসনে জেতানোর আবেদন কেন করছে?
আসলে বিজেপির এজেন্ডায় সিএএ, এনআরসি, ইউসিসি, এক দেশ এক নির্বাচন, জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-র মতো এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো কিন্তু গোপন কিছুও নয়– সবাই জানেন– আর সে জন্যই বিজেপি এত বেশি সংখ্যক আসনে জেতার টার্গেট স্থির করেছে।
বাংলা ট্রিবিউন: আর একটা বিষয়, ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ‘বাংলাদেশ’ কত বড় ইস্যু? বিশেষ করে আসাম বা পশ্চিমবঙ্গের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে? একটা সময় অবৈধ অনুপ্রবেশ বিজেপির জন্য খুব বড় রাজনৈতিক ইস্যু ছিল, এখন আর কি সেটা তত প্রাসঙ্গিক নেই?
শুভ্রকমল দত্ত: অবশ্যই প্রাসঙ্গিক! অবৈধ অনুপ্রবেশ ভারতের জাতীয় স্তরে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো, বিহার-ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি বহু রাজ্যেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি ইস্যু। বেসরকারিভাবে ধারণা করা হয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে অন্তত আড়াই বা তিন কোটি মানুষ বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে বসবাস করছেন। এর ফলে আসাম-পশ্চিমবঙ্গের বহু সীমান্তবর্তী জেলায় এবং আরও বহু রাজ্যে ডেমোগ্রাফি পর্যন্ত বদলে গেছে। ওইসব এলাকায় আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংকট তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ রোহিঙ্গারা ভারতের নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
ফলে অনুপ্রবেশের ইস্যুকে হালকা করে দেখার আসলে কোনও অবকাশই নেই। বিজেপির এজেন্ডাতেও এই ইস্যুগুলো কিন্তু সব সময়ই ছিল, আর এটা বিজেপির কর্মসূচিতে বরাবরই গুরুত্ব পাবে।
বাংলা ট্রিবিউন: শেষ প্রশ্ন... ভারতের এবারের নির্বাচন নিয়ে আপনার সার্বিক মূল্যায়ন বা পূর্বাভাস কী?
শুভ্রকমল দত্ত: আমি যেটা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি তা হলো এই নির্বাচনে শক্তিশালী কোনও বিরোধী পক্ষই নেই। বিরোধী শিবির প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যও নরেন্দ্র মোদির কোনও প্রকৃত চ্যালেঞ্জার তুলে ধরতে পারেনি। অন্যদিকে মোদিজির জনপ্রিয়তা এখনও গগনচুম্বী, আন্তর্জাতিক স্তরেও তার বিপুল গ্রহণযোগ্যতা, মানুষ দেখছে গোটা বিশ্বেও তিনি ভারতের সম্মান কীভাবে বাড়িয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ‘প্রো-ইনকামবেন্সি’ কাজ করছে ভীষণভাবে। মূলত এই সব কারণেই আমি মনে করি বিজেপি ভারতে আরও একটি বিশাল জয় পেতে চলেছে।
আর যদি নির্দিষ্ট পূর্বাভাস করতে বলেন, তাহলে আমার ধারণা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পার্লামেন্টে এবার ৩৮০ থেকে ৪১০টির মধ্যে আসন পাবে।
বাংলা ট্রিবিউন: ড. দত্ত, সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ্রকমল দত্ত: ধন্যবাদ বাংলা ট্রিবিউন ও তার পাঠকদেরও।