ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ইসরায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দ্রুত গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় এমন আহ্বান জানান তিনি। ওই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সপ্তাহান্তে হামাসকে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক একটি প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছিল ইসরায়েল। সেই প্রতিক্রিয়ার উত্তর জানাতে সোমবার কায়রোতে কাতারি এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের আলোচকরা সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা হচ্ছিলো।
রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘হামাসের সামনে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটি অসাধারণ ও উদার প্রস্তাব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গাজাবাসী ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র বাধা হলো হামাস। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা দ্রুতই নিতে হবে।’
এসময় হামাস সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ব্লিঙ্কেন।
আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি প্রায় ১৩০ জনের মধ্যে ৪০ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ছাড়া, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে গাজায় একটি ‘টেকসই বিরতি’ থাকার কথাও বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে হামাসের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবির প্রতি ইসরায়েলের একটি আপোষমূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ইসরায়েলের তথ্য মতে, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় মোট ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান সশস্ত্র যোদ্ধারা।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েল করা বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন