যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হোক বা না হোক, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘সব লক্ষ্য অর্জনের আগে আমরা যুদ্ধ বন্ধ করবো—এই ধারণাটি প্রশ্নের ঊর্ধ্বে।’
রাফাহ শহরে ইসরায়েলি অভিযান শুরুর আগেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মধ্যস্ততাকারীরা। সপ্তাহান্তে হামাসকে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক একটি প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছিল ইসরায়েল। সেই প্রতিক্রিয়ার উত্তর জানাতে সোমবার কায়রোতে কাতারি এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের আলোচকরা সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা হচ্ছিলো।
আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি প্রায় ১৩০ জনের মধ্যে ৪০ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল সৌদি রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ইসরায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দ্রুত গ্রহণ করার আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তখন হামাসকে দেওয়া ইসরায়েলের প্রস্তাবটিকে ‘উদার’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ইসরায়েলের তথ্য মতে, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় মোট ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান সশস্ত্র যোদ্ধারা।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েল করা বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন