লিবিয়ায় ফরাসি হেলিকপ্টার ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করার মধ্য দিয়ে দেশটিতে ফরাসি সেনাদের উপস্থিতির বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। তিনি জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার ভূপাতিত হওয়ার ওই ঘটনায় ৩ ফরাসি সেনা নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খরবটি নিশ্চিত করেছে।
লিবিয়ায় ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে সর্বপ্রথম ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডে খবর প্রকাশ করেছিল। তবে সে সময় লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দিয়েছিল। লে মন্ডের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, আইএসবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা লিবিয়ায় অবস্থান করছেন।
বুধবার ফ্রান্স ইনফো রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্টিফেন লে ফল বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বত্র ফ্রান্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে লিবিয়ায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে'।লিবিয়ার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সেনা সদস্যদের বহনকারী হেলিকপ্টারটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হলে তাদের মৃত্যু হয়। বেনগাজি শহরের কাছে রবিবার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ফরাসি সেনাদের উপস্থিতি তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এক বিবৃতিতে লিবীয় সরকার জানায়, ফরাসি সরকারের দেওয়া ঘোষণায় তারা অসন্তুষ্ট।
পরে বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরেও বলা হয়েছে, ‘বিপজ্জনক গোয়েন্দা অভিযান’ চালানোর সময় এই সেনারা নিহত হন। এর মধ্য দিয়ে তিনিও কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে লিবিয়ায় ফরাসি বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে দেশটির একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর দেশটিতে বিভক্তি চরমে উঠে। দেশটির বিভিন্ন অংশে পৃথক সরকার বা শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/বিএ/