নতুন প্রজন্মকে তেজস্ক্রিয়তার ভাবহতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। হিরোশিমা দিবসের ৭১তম বার্ষিকীতে এক স্মরণ সভায় ধ্বংসবিরোধী সম্মিলিত আবেগে অস্ত্রমুক্ত পৃথিবীর পক্ষে লড়াইয়ের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে, ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট, সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে, ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা বোমায় একসঙ্গে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। হৃদয়ে বিস্ফোরণের ক্ষত নিয়ে হিরোশিমার অভিশপ্ত মাটিতে সেই আণবিক বোমা হামলার ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন করছে জাপান। আজ ওই সকাল ৮টা ১৫ মিনিটেই হিরোশিমায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।
এ স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে আনবিক বোমার ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করতে বিশ্বনেতাদের হিরোশিমা সফরের আহ্বান জানান। এ ধরনের অস্ত্রের বিস্তার রোধে এই বোমায় আক্রান্ত একমাত্র দেশ জাপানের ভূমিকাও উল্লেখ করেন অ্যাবে। তিনি বলেন এ জন্য, ‘সম্মিলিত আবেগে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে দেখাতে হবে।’
অ্যাবে বলেন, পারমাণবিক বোমার শিকার একমাত্র দেশ জাপানের তিনটি প্রধান নীতি হচ্ছে, জাপান কখনই পারমাণবিক বোমা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও অনুমোদন করবে না। এ প্রসঙ্গে নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফেরেশন ট্রিটির গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্বকে এই অস্ত্রমুক্ত করার লড়াইয়ে নিজের অবস্থান ও উদ্যোগ ধরে রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র ও পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন রাষ্ট্রগুলোকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান অ্যাবে। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে তেজস্ক্রিয়তার ভয়াবহ বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপানে এখনও ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০ জন হিবাকুশা বেঁচে আছেন, তাদের গড় বয়স ৮০ বছর।
/ইউআর/বিএ/