জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার অনুমোদন দিয়েছে। তবে জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে জাতিসংঘ সম্প্রতি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘ সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ সুদানে একটি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ দল পাঠানো হবে। শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে স্বাধীন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরগুলোতে অবস্থান নেবে।
দক্ষিণ সুদান সরকার জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি বলে বিবেচনা করছে। শুক্রবার ভোটাভুটির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের এক মুখপাত্র জানান, সরকার জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। এর সঙ্গে সহযোগিতাও করবে না।
কিরের মুখপাত্র অ্যাতেনি ওয়েক অ্যাতেনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর সঙ্গে সহযোগিতা করবো না। কেননা আমরা চাই না আমাদের দেশটা জাতিসংঘ অধিগ্রহণ করুক।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই সেখানে ১২ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এই শান্তিরক্ষী বাহিনী নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করতে ও রক্তপাত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত জুলাই মাস থেকে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৭০ হাজার দক্ষিণ সুদানি নাগরিক পার্শ্ববর্তী উগান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে। হতাহত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা
/ইউআর/বিএ/