X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় তুরস্কের ট্যাংকসহ সাঁজোয়া বহর

বিদেশ ডেস্ক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০১:২০আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০১:২৯

সিরিয়ায় তুরস্কের ট্যাংকসহ সাঁজোয়া বহর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শনিবার তুরস্কের ট্যাংক ও সাঁজোয়া বহর প্রবেশ করেছে। কুর্দিপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে এ বহর তুরস্কের কিলিস প্রদেশ থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

তুরস্কের সামরিক বহরে প্রায় ২০টি ট্যাংক, ৫টি সাঁজোয়া গাড়ি এবং ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে। এ স্থানটি জারাবলুস শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার অভ্যন্তরে এ অভিযান শুরু করে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আইএস ও কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের লক্ষ্যে এই সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার টানা পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটিতে এই প্রথম বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করলো তুরস্ক।

১৯৮০ সাল থেকে তুরস্কের ভূখণ্ডে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসছে কুর্দিপন্থী বিদ্রোহীরা। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত এ কুর্দি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে আঙ্কারা। তাদেরকে তুরস্কের অখণ্ডতার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তুরস্কের বিরুদ্ধে হুমকি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত দেশটির সেনারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। গত বুধবার এ ঘোষণা দেন তিনি।

রবিবার চীনে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ওবামা সিরিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এদিকে সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুর্কিপন্থী বিদ্রোহীদের অস্ত্রবিরতির দাবি নাকচ করে দিয়েছে তুরস্ক। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছিল।

তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ওমর কেলিক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি তার দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে তুর্কি সেনাবাহিনী কোনও অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে উপনীত হয়নি।

গত সপ্তাহেই আইএস বিদ্রোহীদের হাত থেকে সিরিয়ার তুরস্ক সীমান্তবর্তী মানবিজ শহরটি মুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীরা। তবে বর্তমানে মানবিজের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পথে রয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ)। এটি সিরিয়ার তুরস্কপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তুরস্ক ও সিরীয় কুর্দিদের মধ্যকার সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। একপর্যায়ে দেশটি দাবি করে তুর্কিপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে উপনীত হয়েছে কুর্দি বিদ্রোহীরা।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষেরই লড়াই বন্ধ করা উচিত।

তুর্কি ও কুর্দি বাহিনীকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই না করে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার।

এক বিবৃতিতে আঙ্কারা সমর্থিত বিদ্রোহীদের মানবিজের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে তুর্কি সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) যোদ্ধারা ১০টি গ্রাম পরিষ্কার করেছে। সীমান্ত অপরাধ বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তুর্কি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে অবশ্য সেখানকার আইএস কিংবা কুর্দি বিদ্রোহীরা এখন কোথায় আছে সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা থেকে আল জাজিরার হাশেম আহেলবারা বলেন, সীমান্তবর্তী শহর জারাব্লাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এফএসএ যোদ্ধারা আমারনা, ইউসেফ বেক ও আইন আল বাইদাসহ বেশকিছু গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এর আগে দীর্ঘদিন আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকার পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মানবিজের দখল নেয় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)।

এসডিএফকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আইএসের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে সহায়তা করে।

মে মাসে শুরু হওয়া এসডিএফের অভিযানের লক্ষ্য ছিল তুর্কি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে আইএসকে হটিয়ে দেওয়া। অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহীদের হটিয়ে এখন মানবিজের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পথে তুরস্কপন্থী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ)। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।

/এমপি/

সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
প্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
ভারতে দ্বিতীয় দফায় ভোটপ্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
‘খেলাধুলার মাধ্যমে বেড়ে ওঠা ব্যক্তিরা দ্রুত নেতৃত্ব দিতে সক্ষম’
‘খেলাধুলার মাধ্যমে বেড়ে ওঠা ব্যক্তিরা দ্রুত নেতৃত্ব দিতে সক্ষম’
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ