X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের অবজ্ঞায় লাভ হলো ওবামার

ফাহমিদা উর্ণি
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২০:৫০আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২২:০৭
image

অন্য নেতাদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হলেও ওবামাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়নি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা বঞ্চিত করে এবং সফরসঙ্গীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘কূটনৈতিক অবজ্ঞা’ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছিল চীন। বেইজিংয়ের সেই পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে গেছে। কেবল তাই নয়, চীনের ওই কূটনৈতিক কৌশলকে শেষ পর্যন্ত  মার্কিন কূটনীতির হাতিয়ারে রূপান্তর করতে সমর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চীনের কূটনৈতিক চালের বিপরীতে ওবামার নমনীয় অবস্থান এবং সর্বাত্মক কূটনৈতিক শিষ্টাচার প্রদর্শনের ঘটনা উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। মার্কিন স্থানীয় সময় শনিবার দিনশেষে বিশ্বমিডিয়ায় ঢালাও করে প্রচার হয়েছে চীনের কীর্তি। সবমিলে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়েছে চীনের কূটনৈতিক সংস্কৃতির ভয়াবহতা। আর চীনের অবজ্ঞার ওই কূটনীতিকে গুরুত্বহীন এবং দুই দেশের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সাব্যস্ত করেছেন ওবামা। এর বিপরীতে মার্কিন সংস্কৃতির উদার ও ইতিবাচক অবস্থানকে বিশ্বমিডিয়ায় তুলে ধরেছেন তিনি। সবমিলে লাল গালিচার কূটনীতিতে দুর্দান্ত ভূমিকা নিয়েই শেষ রাষ্ট্রীয় সফর সম্পন্ন করলেন ওবামা। বিশ্ববাসীর সামনে কূটনৈতিক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেলেন বিদায়ী এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

প্রথম ঘটনা: চীনে অবতরণের সময়েরকূটনৈতিক অবজ্ঞা’ 

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর হ্যাংঝৌ বিমানবন্দরে পৌঁছে অভ্যর্থনার বদলে বরং পরোক্ষে চীনা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। লাল গালিচা তো নয়ই, তাকে বিমান থেকে নামার জন্য রোলিং স্টেয়ারকেইজ (আলাদা সিঁড়ি) দেওয়ার মতো কূটনৈতিক শিষ্টাচার প্রদর্শনেও অস্বীকৃতি জানানো হয়। কেবল তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত সীমারেখা দড়ি টপকে ওবামার দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে তাকেও বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন চীনা কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দরের ঘটনার পর ওবামার প্রথম ব্রিফিং

চীন থেকে অভ্যর্থনা না পাওয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি বিবাদে জড়াতে চাননি। বিষয়টিকে মোকাবেলা করেছেন দক্ষ কূটনৈতিক কায়দায়।  ব্রিটিশ নেতা থেরেসা মের সঙ্গে বৈঠক শেষের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি না। কেননা, এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয় এবং তা যে কেবল এখানেই (চীনে) হয়েছে তাও নয়। অনেক জায়গাতেই এমনটা হয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের মিত্র দেশেও এমন হয়। এগুলোর কোনওটিই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে খর্ব করেনি।’

খানিক কৌতুকমিশ্রিত ভঙ্গিতে তিনি বলেন, আয়োজক দেশ চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বহরের আকার দেখে সামান্য হতভম্ব হয়ে পড়তে পারে। আমাদের সঙ্গে অনেকগুলো বিমান, হেলিকপ্টার, গাড়ি ও অনেক মানুষ ছিল। আয়োজক দেশের কাছে কখনও কখনও তা খানিকটা বেশি বলে মনে হতেই পারে।’

ওবামা ও শি জিন পিং
দ্বিতীয় 
ঘটনা: জলবায়ুবিষয়ক বৈঠক শুরুর সময়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের বিবাদ

জি টুয়েন্টি সম্মেলনে বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর প্রবেশাধিকারের ওপর ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেন চীনা প্রেসিডেন্টে শি জিংপিং। হ্যাংঝৌতে ওবামা বৈঠক শুরু করার পর পরই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক সাংবাদিককে জলবায়ু বিষয়ক বৈঠকে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য মার্কিন দূতাবাস থেকে হস্তক্ষেপ করার পর তাকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। ওবামা পৌঁছানোর আগে কতজন আমেরিকান ভবনে প্রবেশ করবেন তা নিয়ে হোয়াইট হাউজ কর্মী, প্রটোকল অফিসার ও সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পর্যায়ে এই দ্বন্দ্ব শারিরীক হয়ে ওঠারও উপক্রম হয়।  

ওবামার দ্বিতীয় ব্রিফিং

চীন সফরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা গণমাধ্যমের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন ওবামা। প্রথম ঘটনাটির মতোই দ্বিতীয় ঘটনাটিকেও কূটনৈতিক কায়দায় এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনটা ঘটেছে কারণ সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে। আমরা মনে করি আমরা যা করছি সে সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমেরও জানার অধিকার থাকা উচিত, তাদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকা উচিত। আমরা এ ধরনের সফরে গেলে আমাদের মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করে তারপর যাই না। কিন্তু তা মাঝেমধ্যে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি নিরাপত্তা ও মিডিয়া উপস্থিতির অনুমোদন নিয়ে স্বাভাবিক আদান-প্রদানের অংশ। অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।’ ওবামা বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রশ্নে একটু বেশি জোর দিয়েছি। তবে এর জন্য  আমরা লজ্জিত নই এবং ক্ষমাপ্রার্থনাও করবো না।’ 

দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচিগুলোতে চীনারা মার্কিন সাংবাদিকদের উপস্থিতির সুযোগ কমিয়ে দেওয়ায় বিবাদ চলতে থাকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হ্যাংঝৌর বিখ্যাত ওয়েস্ট লেকের পাশ দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সঙ্গে ওবামা যখন হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন তখন প্রেস প্যাকের উপস্থিতি ছয় থেকে কমিয়ে এক-এ নামিয়ে আনা হয়। এমন দ্বন্দ্ব এই প্রথমবার নয়, এ কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘কিন্তু এবারে দুই পক্ষই অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি মারমুখী হয়ে উঠেছে।’

মোদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ওবামা
অবজ্ঞার কূটনীতি যখন বিশ্বমিডিয়ায়

মার্কিন স্থানীয় সময় শনিবার দিনশেষে বিশ্বমিডিয়ায় ঢালাও করে প্রচার হতে থাকে চীনের কীর্তি। দুই ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেই। টুইটার-ফেসবুকেও বিশ্বব্যাপী নিন্দার কবলে পড়ে চীন। সবমিলে বিশ্ববাসীর সামনে চীনের কূটনৈতিক সংস্কৃতির ভয়াবহতা আর এর বিপরীতে ওবামার কূটনৈতিক প্রজ্ঞাকে সামনে আনতে সমর্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের শিরোনাম করা হয়-‘চীনাদের ইচ্ছেকৃত তিরস্কারের শিকার বারাক ওবামা, জি টুয়েন্টিতে তার আগমন ঘিরে বিশৃঙ্খলা’। বিভিন্ন বিশ্লেকষদের মতামতকে উদ্ধৃত করেই এ শিরোনাম করেছে সংবাদমাধ্যমটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে দুর্বল করে দেখাতে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চীন ইচ্ছে করে ওবামাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়নি। আরেক ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাংঝৌ বিমানবন্দরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অশুভ সূচনা’। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিভাবে এ দুই বিশ্বশক্তির সম্পর্ক পুরোপুরি বিবাদ ও হতাশাপূর্ণ হয়ে পড়েছে এটি তারই প্রতিফলন।’

আচমকা এক উত্তেজক টুইট এবং আবারও পরোক্ষে ওমাবার কূটনৈতিক দক্ষতা

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ী, ওবামার কূটনৈতিক অবজ্ঞার জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা ইউনিট ডিআইএর টুইটার একাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়। ওই টুইটারে বলা হয়, ‘চীনা শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার আরেক প্রচেষ্টা।’ প্রটোকল নিয়ে বিবাদের ওই টুইটটির লিংক নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি আর্টিকেলে প্রকাশ করা হয়। তবে এ ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিতে বাধ্য হয় ডিআইএ। ক্ষমা চেযে ডিআইএ দাবি করে, টুইটটি তাদের সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গিকে উপস্থাপন করে না।

এ কথা কারও অজানা থাকবার কথা নয় যে, ডিআইএর দৃষ্টিভঙ্গিজনিত এই অবস্থান বদলানোর পেছনেও দেশটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভূমিকা না থেকে পারে না। এই ঘটনাও শান্ত ও প্রজ্ঞাবান কূটনীতিক হিসেবে ওবামাকে বিশেষ মর্যাদায় আসীন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এয়ারফোর্স বিমানের সবচেয়ে কম ব্যবহৃত সিঁড়ি দিয়ে নামছেন ওবামা
সব কিছুর পরও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকেই দুষছে চীন

ডিআইএ যখন নিজেদের উত্তেজক টুইট সরিয়ে নিয়ে চীনের কাছে ক্ষমা চাইছে, চীন তখন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকে দুষছে এ ঘটনার জন্য। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করে, ‘সফরে আসা নেতাদের প্রত্যেককেই রোলিং স্টেয়ারকেইজ দিয়েছে চীন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সেখানে যে ড্রাইভারকে পাঠানো হয়েছিল তিনি ইংরেজি বলতে বা বুঝতে পারেন না। ফলে তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা বুঝতে পারছিলেন না। ফলে চীনের পক্ষ থেকে ওই ড্রাইভারের পাশাপাশি একজন অনুবাদক দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বিমানবন্দরের কোনও স্টেয়ারকেইজ তাদের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়।’তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে,স্টেয়ারকেইজ দিতে রাজিই হয়নি চীন।

উল্লেখ্য, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বারাক ওবামা। ২০০৯ সালে পারস্পরিক সংযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিতও হয়েছেন তিনি। বেইজিং যেন ক্ষুব্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে, মানবাধিকারকর্মীদের হতাশায় ডুবিয়ে দালাইলামার সঙ্গে বৈঠক করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি।  অরভিলে শেল নামে খোদ চীনের এক শিক্ষাবিদ তাই ওবামার ভক্ত। ওবামার সেই সময়ের বেইজিং সফরের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তাকে (ওবামাকে) খুব একটা কথা বলতে দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করা থেকে তাকে দূরে রেখেছিল চীন। তাকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে দেওয়া হয়নি এমনকি রেডিওতে সম্প্রচার করা হয়নি। কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে তিনি তা জানতেন না। তিনি রূঢ় হতে চাননি।’

আবারও একই বাস্তবতা। এতো কিছুর পরও রুঢ় হননি ওবামা। বারবার বলেছেন সম্পর্ক উন্নয়নের কথা। এভাবেই ওবামা চীনা কূটনৈতিক অবজ্ঞার ফায়দা তুলে নিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগরের কর্তৃত্ব এবং জনগণের মৌলিক মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে অত্যন্ত শান্ত ও দৃঢ়ভাবে চীনের বিরোধিতা করেছেন তিনি। এতো কিছুর পরও রবিবার চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ইস্যুকৃত ‘ফ্যাক্ট শিট’-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিযোগিতামূলক মুদ্রার অবমূল্যায়ন এড়িয়ে চলা এবং বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগমূলক প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের জন্য চুক্তি সুবিধা সীমিত না করাসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।  

আর ৫ মাস ক্ষমতায় আছেন ওবামা।  নভেম্বরের নির্বাচনের পর হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দাকে নির্বাচিত করবে মার্কিনিরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আসছে বছরের ২০ জুলাই শপথ নিতে যাওয়া সেই নতুন প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে নিয়ে ঠিক কেমন কূটনীতি গ্রহণ করবেন, তার দুর্দান্ত এক নজির রেখে গেলেন বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের কাছে মার্কিন ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট বলে বিবেচিত এই কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটি।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, সিএএন, এপি, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং পলিটিকো

/বিএ/ 

সম্পর্কিত
ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার বিচার২০১৬ সালের নির্বাচনে দুর্নীতি করেছিলেন ট্রাম্প: প্রসিকিউটর
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩
ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর ড্রোন ও রকেট হামলা
সর্বশেষ খবর
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায়, মোনাজাতে কান্না
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায়, মোনাজাতে কান্না
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী মৃত্যু: বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী মৃত্যু: বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
টাকা উড়ছে রেস্তোরাঁয়, নজর নেই এনবিআরের
টাকা উড়ছে রেস্তোরাঁয়, নজর নেই এনবিআরের
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ