X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিটিআইপি চুক্তির বিরোধিতায় জার্মানির ৭ শহরে বিক্ষোভ

বিদেশ ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২০:৪৭আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২১:১৬

টিটিআইপি চুক্তির বিরোধিতায় জার্মানির ৭ শহরে বিক্ষোভ বিতর্কিত ট্রান্সআটলান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ (টিটিআইপি) চুক্তির বিরোধিতা করে জার্মানির সাতটি শহরে বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। শনিবার এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

বার্লিন ও মিউনিখে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসব বিক্ষোভকারী ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে মিছিলে হাজির হন। মিছিলে তারা বিশ্বায়নবিরোধী স্লোগান দেন। এতে কয়েকটি রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে।

বিশ্বায়নবিরোধী গ্রুপ আট্টাকের নেতা রোলান্ড সুয়েস এর আগে জানিয়েছিলেন, টিটিআইপির বিরোধিতায় জার্মানির সাতটি শহরে বিক্ষোভে অংশ নিতে আড়াই লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন।

২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র টিটিআইপি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। অক্টোবর মাসে এ চুক্তি চূড়ান্ত করতে নতুন করে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার আগেই চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে চান। টিটিআইপি চুক্তির একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ সেটা নামে কানাডার সঙ্গে স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা অক্টোবর মাসেই।

গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক জেনিফার মরগান বলেন, সেটা ও টিটিআইপি পরিবেশ এবং ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কয়েক কোটি ভোক্তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এসব চুক্তি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা আইনকে দুর্বল করবে, পরিবেশগত আইন, ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণ ও জাতিগত সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করবে।

সেটা ও টিটিআইপি চুক্তির বিরোধিতা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলো মের্কেলে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেতা ও এমপি পিটার গাওয়েইলার। সম্প্রতি তিনি দল ও এমপির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এ দুটি চুক্তিকে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন।

টিটিআইপির চুক্তির বিরোধিতায় ২০১৫ সাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন জার্মানরা। সর্বশেষ চলতি বছর এপ্রিলেও বড় ধরনের বিক্ষোভ পালন করা হয়।

টিটিআইপি চুক্তির সমর্থকদের দাবি, বিশ্ব অর্থনীতির এ অনিশ্চয়তাকালীন সময়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য শুল্ক প্রত্যাহার অথবা হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যসংক্রান্ত নীতির সমন্বয় হবে আরও বেশি। ফলে দুই পক্ষের বাণিজ্য প্রবাহ জোরদার হবে। তিন বছর আগে টিটিআইপি আলোচনা শুরু হওয়ার সময় বারাক ওবামা বলেছিলেন, এ চুক্তি আটলান্টিকের দুই পারে নতুন প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বলা হচ্ছে, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এটি হবে বিশ্বের সবচেযে বড় বাণিজ্যিক ব্লক। এটি ৮০ কোটি মানুষের একটি বাজার তৈরি করবে। লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দ্রুত সম্প্রসারণশীল এশিয়ার অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য তৈরি হবে। বিশ্ব অর্থনীতি জোরদার হবে। তবে সমালোচকরা বলছেন এটি অগণতান্ত্রিক, এর ফলে বড় কোম্পানিগুলো অনেক বেশি ক্ষমতা পাবে।

ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বছর শেষের আগেই টিটিআইপি চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় মতৈক্যে পৌঁছতে চাইছেন। তাদের আশঙ্কা, আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাসীন হলে এবং ইউরোপের বড় দেশগুলোয় নির্বাচনি মৌসুম এলে টিটিআইপি আলোচনা হোঁচট খেতে পারে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/

 

 

 

সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা