ইসরায়েলের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস চুক্তির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জর্দানের মানুষ। শুক্রবার রাজধানী আম্মানে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নোবল এনার্জি ইনক. এবং ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দেলেক ড্রিলিং-এলপি-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে জর্দানের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নেপকো।
ওই চুক্তি অনুসারে, ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ইসরায়েলের লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্র থেকে ১৫ বছরে ১.৬০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস পাবে জর্দান। ওই গ্যাসক্ষেত্রটি ২০১০ সালে আবিষ্কৃত হয়। ২০১৯ সালে তা বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলনে যাবে বলে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
জর্দানের জ্বালানি খাতের ৯৭ ভাগই আমদানি-নির্ভর। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জ্বালানি উৎসের বহুমুখিতার জন্যই তারা ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
ওই চুক্তির বিরোধিতাকারীদের মতে, ইসরায়েলি গ্যাসও দখলদারিত্বেরই অপর নাম। তাদের টি-শার্টে লেখা ছিল – ‘শত্রুর দখলদার-গ্যাস’।
এক বিক্ষোভকারী ৫৮ বছর বয়সী আহমাদ জাবারি বলেন, ‘আমাদের সরকার আমাদের কথা শুনছে না। অথচ তাদের উচিত জনগণের কথা শোনা। আমরা যদি অন্য কোথাও হতেও গ্যাস কিনতে পারি; তবে কেন ইসরায়েল? আমরা তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি চাই না।’
আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশরের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে জর্দান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর আগে ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামার গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস আমদানির জন্য চুক্তি করেছিল জর্দান।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।
/এসএ/বিএ/