X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

বিদেশ ডেস্ক
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৪৮আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২২:০১

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

চেক রিপাবলিকের সেডলেসের অল সেইন্টস সিমেট্রি চার্চের ঠিক নিচেই অবস্থিত একটি পুরনো ছোট রোমান ক্যাথলিক চ্যাপেল। এই চ্যাপেলটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ব্যবহৃত হয় অস্থি সংরক্ষণাগার হিসেবে।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

এই চ্যাপেলের সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে মৃত মানুষের হাড়, কঙ্কাল ও মাথার খুলি। ধারণা করা হয় এখানে রয়েছে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষের কঙ্কাল। প্রতি বছর গড়ে ২ লক্ষ পর্যটক এই চ্যাপেলটি দেখতে আসেন।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

এই অস্থি চ্যাপেলের ইতিহাস বলে, ১২৭৮ সালে সেডলেসের মঠাধ্যক্ষ হেনরি রাজা দ্বিতীয় ওটাকারের সঙ্গে দেখা করতে পবিত্র ভূমি বোহেমিয়া ভ্রমণ করেন ও সেখান থেকে এক মুঠো মাটি নিয়ে আসেন। তার পর থেকেই সেন্ট্রাল ইউরোপে কবরস্থান হিসেবে জনপ্রিয় হতে শুরু করে সেডলেস।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

এরপর ১৪শ শতকের ব্ল্যাক ডেথ বা প্লেগের মহামারীর সময় এবং ১৫শ শতকের শুরুতে হুসাইট যুদ্ধে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হলে এই কবরস্থানটির পরিসর বৃদ্ধি করা হয়।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

এই কবরস্থানের কেন্দ্রে ১৪০০ সালের শুরুতে একটি গথিক চার্চ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ চলার সময় মাটির তলা থেকে উঠে আসে বিপুল পরিমাণ অস্থি।এ ছাড়াও নতুন কবরের জন্য জায়গা করার জন্যও তোলা হয় অনেক কঙ্কাল।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল
 

বর্তমান চ্যাপেলটি তখন থেকেই অস্থি সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।এরপর ১৫১১ সালে এক সাধুকে এই অস্থিগুলো গুছিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ছবিতে চেক রিপাবলিকের অস্থি চ্যাপেল

তারপরও অস্থির সংরক্ষণাগারটি ছিলো মানুষের চোখের আড়ালেই। কিন্তু ১৭০৩ থেকে ১৭১০ সাল পর্যন্ত সময় নিয়ে এই চ্যাপেলটিকে একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেন এক সূত্রধর। ফ্রান্টিসেক রিন্ট নামের ওই কাঠের কারিগর এমনকি নিজের নামের স্বাক্ষরও রেখেছেন মানুষের হাড় দিয়ে।  

সূত্র: ভিনটেজ নিউজ

/ইউআর/     

 

সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা