ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে তিনদিনের এক বাণিজ্য সফরে চীন পৌঁছেছেন। এই সফরে তার সঙ্গে আছেন ৪০০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি। যুদ্ধ নয়, বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে এসেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট, এমনটাই চীনকে জানাতে চেয়েছেন দুয়ের্তে।
এই সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন দুয়ার্তে। এ ছাড়াও জাহাজ ব্যবসায়ী এনরিক রাজন ও বিপণীকেন্দ্র ব্যবসায়ী হ্যান্স সে’র সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
বিতর্কিত পুলিশ প্রধান রোনাল্ড ডেলা রোজাও দুয়ার্তের সফরসঙ্গী হয়েছেন।
বেইজিং থেকে আশা করা হচ্ছে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র রাষ্ট্র হতে পারতো এমন একটি দেশকে নিজেদের দলে টানতে পারবে চীন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের যে সম্ভাবনা দেখছিলেন তার বিরুদ্ধে এই সম্পর্ক চীনের জন্য ইতিবাচক বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চীনের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন দুয়ার্তে ও তার প্রতিনিধিদল।
দলের পরিচালিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বেইজিং এর প্রতি দুয়ার্তের বন্ধুত্বের আহ্বানকে গ্রহণ করার সুপারিশ করে দাবি করা হয়, ‘আমরা চীনের প্রতি এই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষয়িষ্ণু সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে ফিলিপাইনের রাজনীতিবিদদের দক্ষতা প্রশংসনীয়। একে বাস্তববাদী আচরণের উদাহরণ বলেও দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এই সফরে যাত্রা করার আগে এক বক্তব্যে দুয়ার্তে বলেন, ‘যুদ্ধ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। যুদ্ধ করার চেয়ে আলোচনা করা ভালো। আমরা বন্ধুত্ব নিয়ে ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা করবো।’
সূত্র: গার্ডিয়ান
/ইউআর/