X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেন আমাকে অন্ধ হতে হলো: প্রশ্ন কাশ্মিরি কিশোরীর

বিদেশ ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:৫০আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:০৩

ভারতীয় বাহিনীর ছররা গুলির আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো ১৪ বছরের কাশ্মিরি কিশোরী ইনশা মুশতাক। "নিরাপত্তাবাহিনীর যে সদস্যরা আমার দিকে ছররা ছুঁড়েছিল, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, কী দোষ করেছিলাম আমি?" জানতে চেয়েছে ১৪ বছরের ইনশা মুশতাক। দুচোখের দৃষ্টি হারিয়েছে ভারত শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দা এই কিশোরী।

ফটোগ্রাফার আবিদ ভাট যখন ইনশা মুশতাকের ছবি তুলছিলেন, তখন সে জানলার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। ওই জানলার ধারে বসে থাকতে গিয়েই ছররা আঘাত করে তার চোখে। গত তিনমাসে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, কিন্তু চোখের দৃষ্টি ফিরে পায়নি ইনশা।

চিত্রগ্রাহক আবিদ ভাটকে নিজের পড়ার বইগুলো দেখাচ্ছিল ইনশা মুশতাক- "চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু আঙুলের ছোয়ায় অনুভব করতে পারি। আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম।" কথাগুলো বলার সময়ে তার চোখে পানি। কেঁদে ফেললেন ইনশার মা-ও।

তার বাবা মুশতাক আহমেদ বলছিলেন, "ও যদি গুলিতে মারাও যেত, সেই দু:খ হয়তো একটা সময়ে কাটিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু চোখের সামনে দৃষ্টিশক্তি খোয়ানো মেয়েটাকে দেখে তো আমি রোজ মৃত্যু যন্ত্রণা পাচ্ছি।"

ইনশা মুশতাকের মতো ভারত শাসিত কাশ্মীরের আরও অনেকেই গত তিনমাসের কিছুটা বেশী সময়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে অশান্ত হয়ে ওঠা ভারত শাসিত কাশ্মীরে ৮৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এদের অনেকেই চোখে আঘাত পেয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া ছররা গুলির আঘাতে।

ভারত শাসিত কাশ্মীরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মোকাবিলা করতে প্রথমবার ছররা বন্দুক ব্যবহার করা হয় ২০১০ সালে। গুলি বন্দুকের মতো মারণাস্ত্র নয় এই ছররা। সাধারণত এটি শিকারের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ছররা’র একেকটি শেল-এর মধ্যে ছোট ছোট লোহার বল থাকে। একেকটি শেলে প্রায় ৫০০টি এ রকম লোহার দানা রাখা যায়। বন্দুক থেকে এই শেল ছোড়া হলে বাইরের খোলস ফেটে গিয়ে লোহার দানাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চোখে লাগলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ব্যাপক আশঙ্কা থাকে।

ছররা’র ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও। তবে তার আগেই ইনশার মতো বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কিশোরী ইনশা নিজে কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। কেউ তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এলেই মুখে হাসি ফোটে তার। কখনও বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পরিবার আর আত্মীয়দের সে নিজেই সান্ত্বনা দেয়। মাঝে মাঝে যখন কোনও আত্মীয়র হাত ধরে হাঁটতে বেরোয়, তখনও তার মুখে লেগে থাকে হাসি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এমপি/

সম্পর্কিত
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
ইডি হেফাজতে আরও ৪ দিন কেজরিওয়াল
সর্বশেষ খবর
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’