স্টুডেন্টস ইসলামিক ম্যুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) সদস্য আট জেল পলাতক জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা বিষয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তদন্ত করবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর।
সিমির ওই আট জঙ্গিকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি সাজানো বলে অভিযোগ ওঠায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, এনআইএ-এর তদন্ত না করলেও, এর পরিবর্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ প্রয়োজনীয় তদন্ত পরিচালনা করতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় এই গণমাধ্যমকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীভুপেন্দ্র সিংহ বলেন, বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। আর এনআইএ ওই বিষয়ে তদন্ত করবে না। জেল ভেঙে কী করে ওই আট জঙ্গি পালাল এনআইএ ওই বিষয়ে তদন্ত করবে।
পরে সে বিষয়ে তদন্তেও এনআইএ-এর সহায়তা নেওয়া হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বলা হয়, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
রাজ্য সরকারের ভাষ্যে এ ধরনের পরস্পরবিরোধী অবস্থান ‘জঙ্গি নিহতের সাজানো নাটক’ বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যে আট জঙ্গি পালিয়েছে তারা হল মুজিব শেখ, মজিদ, আকিল, খালিদ, জাকির, মেহবুব শেখ, আমজাদ এবং মহম্মদ শালিক। দাবি করা হচ্ছে এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন সিমির সদস্য।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে ভোপালের সেন্ট্রাল জেল ভেঙে যে আট সিমি জঙ্গি পালিয়েছে তাদের ছবি ও নাম প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। পালানোর প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের হত্যা করা হয়। ভোপালের সিনিয়র পুলিশ অফিসার যোগেশ চৌধুরী ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে ওই আট পলাতক বন্দিকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়।
/এইচকে/