X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’

বিদেশ ডেস্ক
০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৬:২৪আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৭:২৪

‘হ্যাঁ, গুলি করার সময় নিহত সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো, তো কি হয়েছে’ ভারতের ভোপালে বিতর্কিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৮ মুসলিম ছাত্রনেতাদের গুলিকরার সময় তারা নিরস্ত্র ছিলো বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াডের প্রধান সঞ্জিব শামি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ কথা বলেন তিনি।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে ভোপালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সেন্ট্রাল জেল ভেঙে ভারতে নিষিদ্ধঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক ম্যুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি)  আট সদস্য কারারক্ষীকে হত্যা করে পালিয়েছে বলে তাদের ছবি ও নাম প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। পালানোর প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে। ভোপালের সিনিয়র পুলিশ অফিসার যোগেশ চৌধুরী বলেন, সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে ওই আট পলাতক বন্দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা করা হয়। এর পরই বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। চলমান বিতর্কের মাঝেই মধ্যপ্রদেশের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াডের প্রধান সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র বলে স্বীকার করলেন।

এনডিটিভির খবরের স্ক্রিনশট

সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো স্বীকার করলেও সঞ্জিব শামি বলেন, ‘আইনে সুনির্ধারিতভাবে উল্লেখ করা আছে কখন পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে এবং কখন হত্যা করতে পারবে। নিহতরা ছিলো ভয়ংকর সন্ত্রাসী। পুলিশ যদি দেখে তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাহলে তারা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করতে পারে।’

নিহত ৮ সিমি সদস্য

এর আগে সোমবারও শামি একই দাবি করেছিলেন যে, সিমি সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো। তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসছেন পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। নিজের এ অবস্থানে অনড় আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বন্দুকযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বাহিনীর প্রধান শামি আরও বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়া না হলেও শক্তি প্রয়োগ করা যায়।

ভারতের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন মধ্যপ্রদেশের সরকারের কাছে ‘ঠাণ্ডা মাথায়’ ৮ সিমি সদস্যকে হত্যার ব্যাখ্যা চেয়েছে। এ দাবি আরও প্রতিষ্ঠিত হয় যখন সিমি সদস্যদের গুলি করার কয়েকটি ভিডিওতে তাদের নিরস্ত্র দেখা যায়।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীভুপেন্দ্র সিংহ বলেন, বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। তিনি জানিয়েছেন, বিতর্কিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি তদন্ত করবে না এনআইএ।

১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্র সংগঠন এসআইএমআই বা সিমি। এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে নাশকতায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০০১ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত ওই সংগঠনটির কোনও সহিংস কর্মকণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/

সম্পর্কিত
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
ভারতের মণিপুরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক-সংখ্যালঘুরা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
সর্বশেষ খবর
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে  ইসরায়েল?
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে ইসরায়েল?
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
চুক্তিতে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আশা স্টয়নিসের
চুক্তিতে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আশা স্টয়নিসের
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা