X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প নিজেও ছিলেন ইলেক্টোরাল সিস্টেমের বিরোধী

বিদেশ ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৩৩আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৩৩
image

ট্রাম্প ও পেন্স যে নির্বাচন ব্যবস্থার বদৌলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে সক্ষম হলেন, তিনি নিজেও তার বিরোধী ছিলেন। কেবল বিরোধিতা নয়, ইলেক্টোরাল ভোটকে গণতন্ত্রের বিপর্যয় বলে মনে করতেন তিনি।  
যেসব মার্কিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠরা পছন্দ করেছেন হিলারি ক্লিনটনকে। জনগণের দেওয়া রায়ে হিলারির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ট্রাম্পের চেয়ে ‌১ লাখেরও বেশি। তবু লক্ষাধিক ভোট কম পাওয়ার পরও যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন, তার নেপথ্যে রয়েছে সংকটময় ও বিতর্কিত মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থা। ২০১২ সালের নির্বাচনের পর যে ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। আজ সেই ব্যবস্থার কারণেই তিনি প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিল প্রক্রিয়ার কারণে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) পরাজিত হতে হয় হিলারি ক্লিনটনকে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাসে পঞ্চম প্রার্থী, যিনি বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে চারবার এমন ঘটেছিল। মঙ্গলবার সবগুলো অঙ্গরাজ্যে মোট ভোটের মধ্যে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ১২১টি (৫,৯০, ৫৯,১২১) ভোট পেয়েছেন হিলারি। অথচ জয়ী হওয়া ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৩১ (৫,৮৯,৩৫,২৩১) ভোট। সেই অনুযায়ী হিলারির চেয়ে লক্ষাধিক ভোট কম পেয়েছেন তিনি।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল সিস্টেমের কল্যাণে সদ্য জয় পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ইলেক্টোরাল সিস্টেমের সমালোচনা করেছিলেন। ইলেক্টোরাল সিস্টেমকে গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয় বলেই মনে করতেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১‌২ সালে এ নিয়ে ট্রাম্প একটি  টুইট করেছিলেন। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসা শুরু হওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল মিট রমনি পপুলার ভোটে এগিয়ে আছেন, তবে ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যাচ্ছেন। আর তা জানার পর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প ইলেক্টোরাল সিস্টেমকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয়’ উল্লেখ করে টুইট করেন। ট্রাম্প লিখেছিলেন, 'ইলেক্টোরাল কলেজ গণতন্ত্রের জন্য একটি বিপর্যয়'।
অবশ্য, শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের নির্বাচনে বারাক ওবামার কাছে পপুলার ইলেক্টোরাল দুই পদ্ধতিতেই হেরেছিলেন রমনি। কিন্তু এবার গত মঙ্গলবার তা ঘটেনি। ট্রাম্পের চেয়ে পপুলার ভোটে এগিয়ে থাকার পরও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে গেছেন হিলারি। যে ইলেক্টোরাল সিস্টেমকে ট্রাম্প প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন তার কল্যাণেই জয় নিশ্চিত হয় তার।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ প্রার্থীর জন্য যে ভোট দেন তাকে পপুলার ভোট বলা হয়। আর তাদের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থীরা যে সংখ্যক ইলেক্টর তাদের ভাগে পান তাকে ইলেক্টোরাল ভোট বলে।

যখনই কোনও পরাজিত প্রার্থী জয়ী প্রার্থীর চেয়ে নাগরিকদের ভোট বেশি পান, তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি। বারবারই এ পদ্ধতি সংস্কারের দাবি উঠেছে।

/এফইউ/বিএ/

 

সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা