X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের হাত ধরে মুসলিমবিরোধী হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা

বিদেশ ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৬, ১০:০৪আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১০:০৪

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য কয়েকজন সদস্য নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে মুসলিমবিরোধী কয়েকজনের থাকার সম্ভাবনায় হোয়াইট হাউসও মুসলিমবিরোধী হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিন কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী উদ্বেগে রয়েছে মুসলিম বিশ্বে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের তিনটি নির্বাচনই এ উদ্বেগের কারণ। এ তিনটি পদ হচ্ছে  অ্যাটর্নি জেনারেল, সিআইএ-র ডিরেক্টর ও সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। হোয়াইট হাউসের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার আশঙ্কা, এর ফলে আমেরিকার ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে পরিচিত আরব দেশগুলির সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যেতে পারে। সেটা আরও বেশি উদ্বেগের এই কারণে যে, ওই আরব দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়েই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আেইএস)-এর বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযান চলছে।

মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,  নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করায় সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন মুসলিমরা। মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা এজেন্সির সাবেক প্রধান ফ্লিন এর আগে বেশ কয়েক বার মুসলিমদের ‘ক্যান্সার’ রোগের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় মুসলিমদের সম্পর্কে যে ভয়টা রয়েছে তা যৌক্তিক।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তির দ্বিতীয় কারণ, সেনেটর জেফ সেশন্স। ট্রাম্প যাকে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। যিনি প্যারিস হামলার ঘটনার পর আমেরিকায় সাময়িকভাবে মুসলিমদের প্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন। আর ইসলাম ধর্মকে বলেছিলেন ‘বিষাক্ত মতাদর্শ’।

উদ্বেগের তৃতীয় কার, ট্রাম্প যাকে সিআইএ-র নতুন ডিরেক্টর করছেন  তিনি মাইক পম্পিও। যিনি মিশরের একটি মুসলিম সংগঠন ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’কে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার বিল প্রস্তাবের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন।

মাইকেল ফ্লিন: আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্লিন মার্কিন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফ্লিন জয়েন্ট ফাংশনাল কমপোনেন্ট কমান্ড ফর ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রিকনাইসেন্সের কমান্ডার ও আমেরিকার মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার আগে ফ্লিন ছিলেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের দায়িত্বে।

জেফ সেশন্স: রিপাবলিকান পার্টির সদস্য সেশন্স আলাবামার সিনেটর। ১৯৯৪ সালে ছিলেন আলাবামার অ্যাটর্নি জেনারেল। ১৯৯৬ সালে সেশন্স আসেন মার্কিন কংগ্রেসে। ২০০২, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও তিনি সিনেটে নির্বাচিত হন।

মাইক পম্পিও: আমেরিকার ‘হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ পম্পিও ২০১১ সাল থেকে কানসাসের সদস্য। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।

/এএ/

সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
ন্যাটোর অংশীদার হতে আগ্রহী আর্জেন্টিনা
কানাডার ইতিহাসে বৃহত্তম স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
সর্বশেষ খবর
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ