X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রস্তুতি নেই মিয়ানমারের

বিদেশ ডেস্ক
২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৭আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:২৮

জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রস্তুতি নেই মিয়ানমারের জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কোনও ধরনের প্রস্তুতি নেই মিয়ানমারের। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইরাসটির সংক্রমণরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো অর্থ নেই, চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এড়িয়ে চলছেন এবং গর্ভবতী নারীরা জানেন না জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কি ধরনের বিপদে তাদের পড়তে হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানা গেছে।

গত বছর ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর জন্মগ্রহণের আশঙ্কা বেড়েছে। এছাড়া এসব শিশুদের মস্তিষ্কজনিত সমস্যাও বৃদ্ধি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মিয়ানমারের প্রধান ডা. জর্জ এম. লুনা দেশটিতে মশাবাহিত এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন। সম্প্রতি এ অঞ্চলের ভিয়েতনামে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে নতুন ৩৩ জন জিকায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমানে প্রথম জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণরোধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। তবে এরপর অল্প কয়েকজন গর্ভবতী নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাড়ে ৫কোটি মানুষের দেশটিতে এ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা তৈরির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি শতাধিক নারী ইয়াঙ্গুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

৪২ বছরের সান সান আই ছিলেন তাদের একজন। তিনি বলেন, আমি চিকিৎসকদের কাছে জিকা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু চিকিৎসকরা খুব ব্যস্ত। তারা গর্ভবতী নারীদের সঙ্গেই কথা বলছেন আগে। তিনি জানান, এক বন্ধুর কাছ থেকে জিকা ভাইরাস সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। তবে তিনি নিশ্চিতভাবে জানেন না কিভাবে এটা গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মিয়ানমারে ১ হাজার মানুষের জন্য শূন্য দশমিক ছয় চিকিৎসক রয়েছেন। যা কাজাখাস্তানের তুলনায় ছয়গুণ কম। দেশটিতে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় জনপ্রিতি মাত্র ২০ দশমিক ৩ ডলার, যা থাইল্যান্ডের তুলনায় ১৮গুণ কম। হাসপাতালগুলোতে সব সময় অতিরিক্ত রোগীর ভিড় লেগে থাকে সব সময়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি দেশটির সর্বৃবহৎ হাসপাতালে জিকা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক কোনও লেখা বা স্টিকার দেখেননি বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, তারাও জানেন না কিভাবে ভাইরাসটির বিষয়ে রোগীদের সচেতন করবেন।

 মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জিকা নিয়ে জরুরি সেবা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা ডা. থান হুন আং জানান, চিকিৎসকদের স্বল্পতা থাকায় তারা অনেক সময় রোগী দেখতে পারেন না। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/

 

সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা