X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

কাস্ত্রো: আইনের ছাত্র থেকে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা

শাহেরীন আরাফাত
২৬ নভেম্বর ২০১৬, ২১:৫৮আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ২২:০০
image

কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অবিসংবাদিত বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে কাঁদিয়ে ৯০ বছর বয়সে বিদায় নিয়েছেন। রেখে গেছেন তার হার না মানা ও লড়াকু জীবন। তিনি আইনের ছাত্র থেকে হয়ে উঠেছেন দেশটির কিংবদন্তি নেতা। বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা কাস্ত্রো আজও বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জনতার সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন।

ফিদেল কাস্ত্রো

কিউবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওরিয়েন্তে প্রদেশে ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ফিদেল কাস্ত্রো। সান্তিয়াগোতে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষে তিনি দেশটির রাজধানী হাভানার একটি কলেজে পড়াশোনা করেন।

তবে ফিদেলের রাজনৈতিক হাতেখড়ি হয় হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ার সময়। ১৯৪৫ সালে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন আগ্রাসন এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি অর্থোডক্স পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। এই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র রাজনীতিবিদ এদুয়ার্দো শিবাস। এই পার্টির দাবি ছিল, দুর্নীতি দূর করে রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। জনপ্রিয় এই পার্টি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও ফিদেল শিবাসের সঙ্গ ত্যাগ করেননি। মূলত তার হাত ধরেই ফিদেলের প্রাথমিক রাজনৈতিক চেতনা গড়ে ওঠে।

কাস্ত্রো ১৯৪৮ সালে বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ওই সময় তিনি শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ওই বছরই সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারের মিরতা দায়াজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরের বছরই জন্ম হয় ফিদেলের ছেলে ফিদেলিতোর।

ওই সময়ে কাস্ত্রো মার্ক্সবাদী রাজনীতির প্রতি ভীষণভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কার্ল মার্ক্স, ফ্রেদরিখ এঙ্গেলস, ভ্লাদিমির লেনিনের লেখা তাকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি কিউবার সমস্যাকে রাজনীতিকদের দুর্নীতির বিষয় নয়, পুঁজিবাদী সমাজ বা ‘বুর্জোয়া একনায়কত্বের’ অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করতেন।

ফিদেল  ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনে যোগ দেন। ওই আন্দোলনটি অর্থোডক্স ও তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ আন্দোলন। ১৯৪৯ সালের ১৩ নভেম্বর কাস্ত্রো সাংবাদিকদের সামনে কিউবার তৎকালীন শাসক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার গোপন চুক্তির কথা ফাঁস করেন। এরপর  কিছুদিন লুকিয়ে ছিলেন। 

৬৩৮ বার ফিদেলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়

কাস্ত্রো ১৯৫০ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং হাভানায় আইন পেশা শুরু করেন। এর দুই বছরের মাঝেই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে ১৯৫২ সালের মার্চে সাধারণ নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে ক্ষমতা দখল করেন স্বৈরশাসক ফুলজেন্সিও বাতিস্তা।

বাতিস্তার বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিল। ওই সময়ে অর্থোডক্স ও পিএসপি কমিউনিস্ট পার্টি ‘দ্য মুভমেন্ট’ নামে একটি জোট গঠন করে। ১৯৫২ সালের জুলাই থেকে এক বছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কর্মী ফিদেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কমিউনিস্টদের কাছাকাছি মতাদর্শ ধারণ করলেও ফিদেল তার নতুন কর্মীদের পিএসপি কমিউনিস্টদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেন। আবার তার ভাই রাউল কাস্ত্রোর মতো পিএসপি কমিউনিস্টদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্কও ছিল।

১৯৫৩ সালের ২৫ জুলাই ফিদেল ও তার সশস্ত্র যোদ্ধারা মারকাডা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালান। সেখানে ১৬৫ জন যোদ্ধা অংশ নেন। ফিদেলের ধারণা ছিল, সামরিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বিপ্লবী আন্দোলন আরও জোরদার হবে। কিন্তু ২৬ জুলাই সেনাবাহিনীর হামলা এবং পরবর্তী কয়েকদিনে বহু নেতাকর্মীকে কোনও বিচার ছাড়াই হত্যা করা হয়। সেখান থেকে ফিদেল ও তার কয়েকজন সঙ্গী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অর্থোডক্স ও কমিউনিস্টদের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে সামরিক সরকার।    

১৯৫৪ সালে কাস্ত্রো তার পৃথক গ্রুপের নাম দেন ‘জুলাই আন্দোলনের ২৬’। ওই অভিযানের সঙ্গে জড়িত ২৫ সহযোদ্ধার সঙ্গে ফিদেলও তখন কারাবন্দি। ফিদেল সেখানে মার্ক্স, এঙ্গেলস, লেনিন, কান্ট, শেক্সপিয়ার, ফ্রয়েড, মম নিয়ে পড়াশোনা করতেন। আলোচনা করতেন সহযোদ্ধাদের সঙ্গে। বিচারে ফিদেলের ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরের বছর ১৫ মে ওই মামলায় আটকদের সাধারণ ক্ষমা ঘোঘণা করেন বাতিস্তা। তিনি ফিদেলকে কখনোই হুমকি বলে গণ্য করেননি।

মুক্ত হয়েই কাস্ত্রো গেরিলা তৎপরতা শুরু করেন। সিয়েরা মস্ত্রা পর্বতমালায় বিদ্রোহীদের ছোট্ট একটা অংশ পুনরায় সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে। সেখানে ‘জুলাই আন্দোলনের ২৬’ গ্রুপের গেরিলারা স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতা লাভ করেছিলেন।

চে গুয়েভারার সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রো

১৯৫৫ সালের জুনে রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে নিকো লোপেজের মাধ্যমে চে গুয়েভারার পরিচয় হয় এবং পরে রাউলের মাধ্যমে ফিদেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয় চে-র। কিউবার সমস্যা নিয়ে প্রথম সাক্ষাতেই কাস্ত্রোর সঙ্গে চে-র দীর্ঘ আলোচনা। সেই সময় চে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ঘোরবিরোধী ছিলেন এবং তিনি মনে করতেন এই আগ্রাসী তৎপরতার আশু সমাপ্তি দরকার। এরপরে চে ‘জুলাই আন্দোলনের ২৬’ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। 

বিপ্লবের পরিকল্পনায় কাস্ত্রোর প্রথম পদক্ষেপ ছিল মেক্সিকো হতে কিউবায় আক্রমণ চালানো। ১৯৫৬ সালের ২৫ নভেম্বর তারা কিউবার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কিউবা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাতিস্তার সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণ করে। এতে ৮২ জন গেরিলা মারা যান অথবা বন্দি হন। মাত্র ২২ জন প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন। চে গুয়েভারা তার বইয়ে লিখেছিলেন, ওই অভিযানের মধ্যদিয়েই তিনি চিকিৎসক থেকে বিপ্লবীতে পরিণত হন।

১৯৫৮ সালের ৯ এপ্রিল দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেন ফিদেল। ওই হরতালের ঘোষণার পর বাতিস্তা তার সেনাবাহিনীকে হরতালকারীদের দেখা মাত্র গুলি করার আদেশ দেন। ওই সময়েই বাতিস্তা সেনাবাহিনীতে তার সমর্থন হারাতে থাকে।

১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কাস্ত্রোর নেতৃত্বাধীন বিপ্লবীরা ক্ষমতা দখল করে। বাতিস্তা সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে তাদের প্রকাশ্যে বিচারের আয়োজন করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে রাউল কাস্ত্রোকে সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান করা হয়।

১৯৬০ সালের অক্টোবরে ওষুধ ও খাবার ছাড়া কিউবায় সবধরনের পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬১ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডুইট আইসেনহাওয়ার কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এই সম্পর্ক ফিদেল যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, ততদিন স্বাভাবিক হয়নি। তবে রাউল কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  সে বছর এপ্রিলে কিউবার কাস্ত্রোবিরোধী দেশান্তরীদের তৎপরতায় সমর্থন দিয়েছিলেন তৎকালীন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। তারা বে অব পিগস দিয়ে কিউবা দখলের চেষ্টা করেছিলেন। 

১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে কাস্ত্রো বাতিস্তাবিরোধী সব গ্রুপকে একত্রিত করে গড়ে তুলেন ইন্টিগ্রেটেড রেভলিউশনারি অর্গানাইজেশনস। ১৯৬২ সাল থেকে ফিদেলের পররাষ্ট্রনীতিতে সোভিয়েতের প্রভাব বাড়তে থাকে। অক্টোবরে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র সংকটকে কেন্দ্র করে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয় কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে।  

ষাটের দশকে ফিদেল

পরে ১৯৬৫ সালে গড়ে তোলা হয় কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা। যা দেশটির একমাত্র ক্ষমতাসীন পার্টি। কিউবা বিপ্লবের পর সংবাদমাধ্যমকে বহুবার ফিদেল এবং রাউল কাস্ত্রো বলেছিলেন, তারা কমিউনিস্ট নন। কমিউনিস্ট পার্টিও তারা গড়তে যাচ্ছেন না। কিন্তু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের সমর্থনেই কিউবায় কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ, বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে ব্যাপক সোচ্চার দেখা গেছে ফিদেল কাস্ত্রোকে। ১৯৭৯ সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের হাভানা ঘোষণায় ফিদেল বলেন, ‘এই সংগঠনটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যুক্ত দেশগুলোর জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদসহ সব ধরনের বিদেশি আগ্রাসন, দখলদারিত্ব, আধিপত্য, হস্তক্ষেপ অথবা হেজিমনি থেকে দেশগুলোতে রক্ষা করা।’

১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে তার প্রভাব কিউবাতেও দেখা যায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বেকারত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে। কিউবার বহু অনুরোধেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে রাজি হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিউবা কৃষি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জন করে এবং তা এখনও পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। 

ফিদেলের শেষ ভাষণ

মূলত তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার চুক্তি হয় নির্বাসিতদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। পরে ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ফিদেল সেখানে নির্বাসিতদের নিজ ঘরে ফিরে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। তবে এতে তার মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা শেষ হয়ে যায়নি। ২০০০ সালের ২৬ জুলাই কাস্ত্রো কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের অনাহুত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করেন।

কাস্ত্রোর ৯০ বছরের জীবনে ৬৩৮ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এসব গুপ্তহত্যার চেষ্টা চালায়। কিউবার ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকেই কাস্ত্রোকে হত্যার চেষ্টা শুরু হয়। সর্বশেষ হত্যাচেষ্টাটি করা হয় ২০০০ সালে। কাস্ত্রোকে হত্যায় মার্কিন চেষ্টা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মিত হয়েছে। তাতে কাস্ত্রোকে হত্যার যে বিভিন্ন উপায় ও পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেগুলো তুলে ধরা হয়।

২০০৬ সালে ফিদেল তার উত্তরসূরি নির্ধারণ করেন রাউল কাস্ত্রোকে। সে বছর তাকে অন্ত্রে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, এমনটা টের পেয়ে সাময়িকভাবে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। শারীরিক অবস্থায় উন্নতি না হওয়ায় ২০০৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাউলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। রাউল ক্ষমতায় আসার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র তার আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করেছে।  

১৯ এপ্রিল ২০১১, কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পদ সেক্রেটারি হিসেবে কাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হন রাউল। কংগ্রেসে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন কাস্ত্রো।

চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেসে বিদায়ী ভাষণ দেন কাস্ত্রো। সেখানে  তিনি  ঘোষণা করেন, কিছুদিনের মধ্যেই অন্য সবার মতো তারও চলে যাওয়ার সময় আসবে। কিন্তু কিউবার কমিউনিস্টদের দেখানো পথ থেকে যাবে আজীবন।

রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রো

২০০৬ সালে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে অনেকটা নিভৃতেই জীবন-যাপন করছিলেন কাস্ত্রো। ২০১২ সালে দু’বার এবং ২০১৩ সালে দু’বার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনীতে আবারও তাকে দেখা যায়। গত এপ্রিলে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশের শেষ দিনে তার ভাষণটিও তেমনই একটি বিরল ঘটনা ছিল। আর গত ১৩ আগস্ট ৯০তম জন্মদিনে শেষবারের মতো জনসমক্ষে এসেছিলেন কিউবার এই অবিসংবাদিত নেতা।

কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফিদেলের ভাই এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভোগার পর ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন ৪৯ বছর ধরে কিউবা শাসন করা কাস্ত্রো।

সূত্র: পিটার বোর্ন ফিদেল: আ বায়োগ্রাফি অব ফিদেল কাস্ত্রো, লিচেস্টার কোল্টম্যান:  দ্য রিয়েল ফিদেল কাস্ত্রো, বিবিসি, বিজনেস ইনসাইডার, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, হিস্টোরি।

/এসএ/এএ/ এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩ নিরাপত্তারক্ষী
লাতিন আমেরিকায় এক বছরে ১২৬ অ্যাক্টিভিস্ট নিহত
হাইতির প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি গ্যাং লিডারের
সর্বশেষ খবর
রংপুরে খেজুর বিক্রি নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার
মান নিয়ে প্রশ্ন, নেই প্রতিকাররংপুরে খেজুর বিক্রি নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার
সংঘর্ষের কারণে তিউনিসিয়া-লিবিয়া সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ
সংঘর্ষের কারণে তিউনিসিয়া-লিবিয়া সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ
মজুতদারি ও কারসাজি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মজুতদারি ও কারসাজি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আল্লাহর রাসুল (সা.) ইফতারে কী খেতেন?
আল্লাহর রাসুল (সা.) ইফতারে কী খেতেন?
সর্বাধিক পঠিত
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার