X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিসংশনের মুখে পার্ক জিউন-হাই

বিদেশ ডেস্ক
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:০৭আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১২
image

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিসংশন বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর ওই বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি হবে। 

পার্ক জিউন-হাই

প্রধান তিন বিরোধী দল – মিনজু পার্টি, পিপলস পার্টি এবং জাস্টিস পার্টি – অভিশংসনের বিষয়ে একমত হওয়ার পর শুক্রবার ওই বিলটি উত্থাপন করা হয়। বিরোধীদলের নেতারা ক্ষমতাসীন সেনুরি পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদেরও অভিসংশনের ভোটে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্টকে অভিসংশনের বিল পাশ করতে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ২০০ জনের সমর্থন দরকার। পার্লামেন্টে ওই তিন বিরোধীদলের ১৭২ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ, অভিসংশনের জন্য বিরোধীদের ভোট ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ২৮ জনের সমর্থন দরকার।

ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের ৪০ থেকে ৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্য পার্কের অভিসংশনের পক্ষে সমর্থন দেবে। সেনুরি পার্টির সাবেক প্রধান কিম মু সং পার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় অভিসংশন বিল পাশ করাটা সহজ হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টারি অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে অভিসংশনের এই বিল সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের হাতে পৌঁছেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা। দেশটির ইতিহাসে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটছে। এর আগে ২০০৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রো মো-হিউনকে পদ থেকে সরানোর জন্য অভিসংশন বিল আনা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রেসিডেন্টের আরও ১৫ মাস মেয়াদ আছে।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, তিনি তার বন্ধুকে অবৈধভাবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।

পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি চোই-এর রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করতে সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ প্রেসিডেন্টের বন্ধু চোই-এর কোনও রাষ্ট্রীয় পদবী নেই।

প্রতারণা, বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে চোই সুন-সিলকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গোপন রাষ্ট্রীয় নথি প্রকাশের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের অপর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/

সম্পর্কিত
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা