X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প-তাইওয়ান যোগাযোগ নিয়ে চীনকে ব্যাখ্যা দিলো ওবামা প্রশাসন

বিদেশ ডেস্ক
০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:০৮আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:১১

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন-এর সঙ্গে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথোপকথনের প্রেক্ষিতে সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে এ ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যায়  চীনকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এক চীন নীতির প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রনৈতিক অঙ্গীকার অটুট রয়েছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের দায় নিতে অস্বীকৃতিও জানানো হয়েছে ওই ব্যাখ্যায়।

গত শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প-সাই ইং ওয়েন-এর ওই কথোপকথনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে নতুন করে এক ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়। এ ইস্যুতে চীনা সমালোচনার জবাবে উল্টো বেইজিংকে একহাত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতেই ওবামা প্রশাসন তাদের এমন অবস্থানের কথা জানায়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট জানান, গত সপ্তাহে তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের যে আলাপ হয়েছে সে ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনকে থেকে ট্রাম্প শিবিরকে সতর্ক করা হয়েছে। ওবামা প্রশাসন ট্রাম্প শিবিরকে জানিয়েছে, ফোনালাপের ওই ঘটনায় বেইজিং-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে দুই দফায় চীনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বেইজিংকে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় নিশ্চিত করতেই এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের চীন নীতির পুনরাবৃত্তি এবং বিষয়টি আরও স্পষ্ট করাও ছিল এসব বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য।

জোশ আর্নেস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতি ৪০ বছর আগের। এতে সবসময়ই শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল চীন এবং তাইওয়ানের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থেই এটা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের টিমের যদি ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে; তাহলে এটি ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব আমি তাদের ওপর ছেড়ে দেবো।’

জোশ আর্নেস্ট বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেইজিং-এর চীন সরকারের ব্যাপক অগ্রাধিকার রয়েছে। এটা একটা স্পর্শকাতর বিষয়। কিছু ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু এই ইস্যুর মাধ্যমে তার ভিত দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুক্রবার ফোনালাপ করেন মূলত তখনই তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ এ বিরোধ ও স্পর্শকাতর ইস্যুটিকে পুনরায় জাগিয়ে তোলেন। বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত, এ ফোনালাপে বিরোধটি মীমাংসা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের মধ্যস্ততা ভূলুণ্ঠিত হতে পারে। আবার অনেকেই মনে করছেন, তাইওয়ান এর মধ্য দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

১৯৭৯ সালের পর থেকে শুক্রবারের আগ পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি বলেই মনে করা হয়। তবে শুক্রবারের এ কথোপকথনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। আর সেটা প্রশমনেরই চেষ্টা করছে বারাক ওবামার বিদায়ী প্রশাসন। সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/বিএ/

সম্পর্কিত
গাজা নিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেফতার
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘বড় পরিবর্তন’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার বিচার২০১৬ সালের নির্বাচনে দুর্নীতি করেছিলেন ট্রাম্প: প্রসিকিউটর
সর্বশেষ খবর
তীব্র গরমে কৃষিশ্রমিকের সংকট চরমে
তীব্র গরমে কৃষিশ্রমিকের সংকট চরমে
গাজা নিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেফতার
গাজা নিয়ে মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেফতার
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মশলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মশলা
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘বড় পরিবর্তন’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘বড় পরিবর্তন’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি