ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩ মিনিটে উত্তর সুমাত্রার বান্দে আচেহর ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও সিগলি শহরের ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল সমুদ্রের নিচে, ভূমি থেকে ১৭.২ কিলোমিটার গভীরে।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে অবশ্য সুনামি সতর্কতা জারি করেনি। ভূমিকম্পের পর ৩০ মিনিটের মধ্যে ৫ বার আফটার শক অনুভূত হয়। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।
ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পের তীব্রতায় বান্দে আচেহতে একটি বহুতল ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। উদ্ধারকাজ চলছে। অনেকের আটকে থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি মসজিদ। এছাড়া শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ি অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
ধসে পরা ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকে আছেন কয়েকশ’ মানুষ। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। উল্লেখ, ২০০৪ সালে ৯.২ মাত্রার প্রলঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশের অনেক জনপদ ভেসে যায়। তখন কেবল আচেহ প্রদেশেই মারা পড়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সূত্র: বিবিসি।
/এসএ/