লিবিয়ার উপকূলীয় সিরতে নগরী মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দখলমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে লিবিয়ার সরকারি বাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন সাত শতাধিক লিবীয় যোদ্ধা।
দীর্ঘদিন ধরে আইএস-এর দখলে থাকা সিরতে পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের আগস্টে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তায় অভিযান শুরু করে জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার ঐকমত্যের সরকার। ওই অভিযানে সাত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে লিবিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিন হাজার ২০০ যোদ্ধা। আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী অন্তত ৪৯৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে সিরতে নগরীতে। সিরতে অভিযানে সেনাবাহিনী-পুলিশের সঙ্গে অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানীয় সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী।
এর আগে মে মাসে শহরটি পুনর্দখলের অভিযান শুরু করে লিবিয়ার সেনাবাহিনী। জুন মাসে তারা শহরে ঢুকে পড়লেও আইএস-এর প্রতিরোধের সামনে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে আগস্টে নতুন করে একাধিক ফ্রন্টে অভিযান শুরু হয়।
সোমবার লিবিয়ার সরকার সিরতে নগরী আইএসমুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। তবে এর পরদিনও নগরীতে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। সিরতের ভ্রাম্যমান হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ লেজনেফ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গিজা বাহারিয়া থেকে ২১ জন নারী এবং ৩১ জন শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। সিরতে নগরীতে আইএস শতশত নারী ও শিশুকে আটকে রেখেছিল।
সোমবার সরকারি বাহিনীর মুখপাত্র রেদা ইসা এক ঘোষণায় বলেন, ‘আইএস জঙ্গিরা পুরোপুরি নির্মূল হয়েছে এবং আমাদের বাহিনী সিরতের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।’
অপর এক বিবৃতিতে লিবিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরতে নগরীতে বহু জঙ্গি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। সেনা মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-গাসরি জানান, মঙ্গলবার অন্তত দুটি আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৩০ জঙ্গির মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সূত্র: রয়টার্স।
/এসএ/