X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষেই রায় পার্লামেন্টের

বিদেশ ডেস্ক
০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:০২আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:২৫
image

পার্ক জিউন হাই দুর্নীতিজনিত কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে এ রায় আসে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ ৯ বিচারক বিশিষ্ট সাংবিধানিক আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। পার্ক চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত হবেন কি হবেন না সে সিদ্ধান্ত জানাতে ছয় মাস সময় পাবেন তারা। আর সে পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন পার্ক। 
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ২৩৪ জন পার্ককে অভিশংসিত করার পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় ৫৬ জন। এর মানে হলো পার্কের দল সায়েনুরি পার্টির কিছু সদস্যও তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের বিল পাশ করতে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ২০০ জনের সমর্থন দরকার ছিল। পার্লামেন্টে তিন বিরোধীদলের ১৭২ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ,অভিশংসনের জন্য বিরোধীদের ভোট ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ২৮ জনের সমর্থন দরকার ছিল। এর মানে হলো পার্কের দল সায়েনুরি পার্টির কিছু সদস্যও তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা। এর আগে ২০০৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রো মো-হিউনকে পদ থেকে সরানোর জন্য অভিশংসন বিল আনা হয়েছিল। 
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। তার আরও ১৫ মাস মেয়াদ আছে। তবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ,তিনি তার বন্ধুকে অবৈধভাবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন। পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রতারণা, বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে চোই সুন-সিলকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গোপন রাষ্ট্রীয় নথি প্রকাশের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের অপর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।


/এফইউ/

 

সম্পর্কিত
সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদনের পথে থাইল্যান্ড
মস্কোয় কনসার্টে হামলা: প্রশ্নের মুখে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা
সুপেয় পানির অপচয়, বেঙ্গালুরুতে ২২ পরিবারকে জরিমানা
সর্বশেষ খবর
আইসিসি এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত
আইসিসি এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত
অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে ভুটানের রাজার সন্তোষ প্রকাশ
অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে ভুটানের রাজার সন্তোষ প্রকাশ
ট্যুর অপারেশনে ব্যাংকে থাকতে হবে ১০ লাখ টাকা
ট্যুর অপারেশনে ব্যাংকে থাকতে হবে ১০ লাখ টাকা
এনভয় টেক্সটাইলসের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
এনভয় টেক্সটাইলসের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে