দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি মার্কিন অজ্ঞাতনামা আন্ডারওয়াটার ড্রোন জব্দ করেছে চীন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ড্রোনটি ফেরত দেওয়ার জন্য চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীনা নৌবাহিনী ড্রোনটি জব্দ করেছে। মার্কিন গবেষণা জাহাজ ড্রোনকে উত্তোলনের আগেই চীনা নৌবাহিনী তা জব্দ করে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ড্রোনটি এক ধরনের ন্যাভাল গ্লাইডার যা পানির তাপমাত্রা ও লবনাক্ততা পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ড্রোনটি চীন নিয়ে গেছে। ইউইউভি (আনমেনড আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল) আইনসম্মতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে পানিতে সমীক্ষা চালাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ বছরে তাইওয়ানের ব্যাপারে চীনের অবস্থানকে সম্মান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ৪৪ বছরের সেই রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ট্রাম্প। ওই টেলিফোন আলাপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এ ইস্যুতে বেইজিং প্রথম প্রতিক্রিয়ায় একে ট্রাম্পের অন্তবর্তী প্রশাসনের পররাষ্ট্রনৈতিক বোঝাপড়ার অভাব বলে উল্লেখ করে। পরে ট্রাম্পের আরও সমালোচনা হাজির করে চীন।
পরে ট্রাম্প ট্রাম্প ‘এক চীন নীতি’কে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এর জবাবে চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, ওই এক চীন নীতিই চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/