‘সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী দায়েশ (আইএস), ওয়াইপিজি, পিওয়াইডি’সহ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সহায়তা করছে। এটা খুবই পরিষ্কার। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে ছবি এবং ভিডিওসহ অকাট্য সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে।’ মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এমন অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
এদিকে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ব্যাপারে একমত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। পরিকল্পনা অনুযায়ী আইএসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখবে। বুধবার নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। একই রকমের খবর দিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানান, সিরিয়ার যেসব স্থানে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেসব স্থানে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিশদ আলোচনা করবেন রাশিয়া ও তুরস্কের কর্মকর্তারা।
প্রস্তাবিত এ যুদ্ধবিরতি সফল হলে রাশিয়া ও তুরস্কের নেতৃত্বে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। কাজাখাস্তানের রাজধানীতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধিদের কাজাখাস্তানে একত্রিত করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। আর দীর্ঘমেয়াদী এ সংঘাত নিরসনে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে কাজাখাস্তান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ।
সিরিয়ায় শান্তি স্থাপন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাজাখাস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে সৌদি আরব এবং কাতারেরও যোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, সিরিয়া ইস্যুতে দেশ দুটি সদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, ইনডিপেনডেন্ট।
/এমপি/