X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংকে স্বাধীনতা দিতে নারাজ চীন

বিদেশ ডেস্ক
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:১৬আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:০১
image

‘আমব্রেলা’ আন্দোলন যে চুক্তি অনুযায়ী ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতিতে  হংকংকে শাসন করছে চীন, সেখানে স্বাধীনতার কোনও অবকাশ নেই বলে আবারও জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ চীনা কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করে ব্রিটেন। মৌলিক আইন সম্বলিত চীনের অধীনস্ত একটি সংবিধান রয়েছে এই সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটির। যার মাধ্যমে কিছু সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ৫০ বছর ধরে চলা চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওই সংবিধান।

চীনের হংকং ম্যাকাও বিষয়ক দফতরের প্রধান ওয়াং গুয়াঙ্গিয়া হংকংয়ের চীনপন্থী ম্যাগাজিন দ্য বাউহিনিয়া জানান, “‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির অধীনে হংকংয়ের স্বাধীনতার কোনও সুযোগই নেই।”

তিনি আরও বলেন, “হংকং চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর কোনও অবস্থাতেই হংকংয়ের স্বাধীনতা অনুমোদন করা হবে না। ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির অধীনে এটাই শেষ কথা।”

ওই চীনা কর্মকর্তা হংকংয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমাদের সামনে নতুন নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ আসবে। সবকিছু সরল পথে চলবে, এমনটা মনে করা যায় না।  আর কেন্দ্রীয় সরকার হংকংয়ের বিষয়ে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি ধ্বংস হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ‘দুই ব্যবস্থার’ পার্থক্যের প্রতি আমাদের সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা থাকতে হবে।”

২০১৪ সালে গড়ে উঠা ‘আমব্রেলা’ নামের আন্দোলনে হংকংয়ের সংবিধান পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল, যেন চীনের বলয় থেকে বের হয়ে আসা যায়। আন্দোলনের সময় বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী হংকং কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। হংকংয়ের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ যাবতীয় বিষয়ে চীন ‘মাত্রাতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে’ বলে অভিযোগ তুলেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে চীন আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ওই আন্দোলনের স্বীকৃতি দেয়নি।

স্বাধীনতাপন্থি বলে পরিচিত ‘আমব্রেলা’ আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাথান ল ২০১৪ সালে হংকংয়ের আইন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাধীনতার পক্ষে তিনি কোনও উসকানি তৈরী করবেন না। তিনি জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চান। স্বাধীনতা নয়। ‘আইন পরিষদের আসনকে কোনওভাবেই আমি স্বাধীনতার দাবির উসকানি তৈরীতে ব্যবহার করব না। জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।’

তবে হংকংয়ে ক্রমেই স্বাধীনতার দাবি জোরালো হচ্ছে বলে মনে করা হয়। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এক ম্যাগাজিনে চলতি বছর মার্চে ‘আমাদের ২০৪৭’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৪৭ সালের মধ্যে জাতিসংঘ হংকংকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে, একইসঙ্গে সেখানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার থাকবে এবং তার নিজস্ব সংবিধান থাকবে। ওই প্রতিবেদনে হংকংয়ের স্থানীয় সরকারকে বেইজিংয়ের পুতুল বলেও উল্লেখ করা হয়।    

সূত্র: রয়টার্স।

/এসএ/বিএ/

সম্পর্কিত
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
দক্ষিণ চীনে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ মানুষকে
সর্বশেষ খবর
প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন এমডি মোহাম্মদ আবু জাফর
প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন এমডি মোহাম্মদ আবু জাফর
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী
উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে কাজ করার আহ্বান
উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে কাজ করার আহ্বান
কোড সামুরাই হ্যাকাথনের দ্বিতীয় পর্বের ফল প্রকাশ, ৪৬ দল নির্বাচিত
কোড সামুরাই হ্যাকাথনের দ্বিতীয় পর্বের ফল প্রকাশ, ৪৬ দল নির্বাচিত
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ