X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

করাচিতে চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন!

বিদেশ ডেস্ক
০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৮আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৩

করাচিতে চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন! পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে গতবছর চীনের একটি পারমাণবিক সামরেমিনের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির ভিত্তিতে এমন খবর জানায় সংবাদমাধ্যমটি। ওই খবর প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভারতীয় নৌবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, এটা হচ্ছে চীনের তৈরি সর্বাধুনিক সাবমেরিন।
০৯৩ শাং সাবমেরিনটি ভিড়েছিল করাচি বন্দরের ডকে। সম্ভবত ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলোর গতিবিধি আগের চেয়ে আরও কাছ থেকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যই এটি সেখানে অবস্থান নেয়। একই সময়ে ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লিপ্ত বেইজিং।

প্রচলিত সাবমেরিন থেকে আলাদা, পারমাণবিক চুল্লিতি পুনরায় জ্বালানি নেওয়ার তাগিদে পারমাণবিক ক্ষমতাযুক্ত সাবমেরিনগুলোর অপারেশনের আওতা বা পরিসীমা অসীম। অর্থাৎ, এসব সাবমেরিনে টর্পেডো এবং ক্রুজ মিসাইলের মতো সরঞ্জাম যুক্ত থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এগুলো পানির নিচে স্থাপন করা যায়। সেখানে এসব সাবমেরিন শনাক্ত করাও বেশ কঠিন।

করাচিতে চীনের এই পারমাণবিক সাবমেরিনের উপস্থিতির বিষয়টি প্রথম উঠে আসে টুইটারে পোস্ট করা এক ছবিতে। স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। গুগল আর্থে ছবিটির সত্যতা নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে। এটা ঘটেছিল ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে।

চীনের এই সাবমেরিনটি করাচিতে পানির নিচে স্থাপন ও ব্যবহার উপযোগী করতে আনুমানিক সাত হাজার টন সামগ্রী সরিয়ে নিতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল অত্যাধুনিক এন্টি শিপ মিসাইল বিধ্বংসী ছয়টি টর্পেডো টিউব। তবে ভূমিতে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এটি কোনও ক্রুজ মিসাইল স্থাপন করেছিল কি না; সেটি পরিষ্কার নয়। এই সাবমেরিন পানির নিচে সামগ্রী শনাক্ত করতে সক্ষম। শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনগুলোও আটকাতে পারে এটি। চীনা সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটি পানির নিচে শান্ত এক স্বতন্ত্র সাবমেরিন। এটা লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিনের মতোই। এসব নিভৃত পারমাণবিক সাবমেরিন শনাক্ত করা খুবই কঠিন।

ভিয়েতনামভিত্তিক দৈনিক থান নিয়েন একজন সাংবাদিক দুয়াম দাং। ২০১৬ সালের জুনে টুইটারে তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ওই একই সাবমেরিনটি সিঙ্গাপুর উপকূল হয়ে চীনের পানিসীমায় ফিরে যাচ্ছে।

এনডিটিভি বলছে, ভারত মহাসাগরে চীনের আধিপত্যবাদী ও কৌশলগত ভূমিকা ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। গত মাসেই ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরা সানিল লানবা বলেন, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-এর নৌবাহিনীর জাহাজ এবং সাবমেরিনগুলো উদ্বেগজনক। ভারতীয় নৌবাহিনীর এ ব্যাপারে গভীর নজর রাখছে। সেগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এগুলো শনাক্ত করতে আমরা এয়ারক্রাফট এবং জাহাজের মাধ্যমে নজরদারি মিশন শুরু করেছি। সূত্র: এনডিটিভি।

/এমপি/

সম্পর্কিত
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
ভারতের একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
সর্বশেষ খবর
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা