যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অতীতে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের মার্চে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় সমস্যা এবং সবচেয়ে 'বড় ভূরাজনৈতিক শত্রু' বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেসময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করেছিলেন ট্রাম্প। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ট্রাম্পের দেওয়া সেইসব সাক্ষাৎকার পর্যালোচনার ভিত্তিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন দাবি করেছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মার্চে এনবিসি নিউজ ও ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকারগুলো দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে আলাদা করে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত করার পর দেওয়া সেইসব সাক্ষাৎকারে রাশিয়াবিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে তাকে। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি ২০১২ সালে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাম্বার ভূরাজনৈতিক শত্রু উল্লেখ করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা সমর্থন করেছিলেন ট্রাম্প।
ফক্স এন্ড ফ্রেন্ডসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মিট ঠিক ছিলেন এবং বিতর্কগুলোর একটিতে রাশিয়ার ব্যাপারে তিনি যা বলেছিলেন তাও ঠিক ছিল। তিনি বলেছিলেন রাশিয়া আমাদের বড় সমস্যা এবং আপনারাও জানেন, রাশিয়া আসলেই তেমন কিছু।’
অথচ, ট্রাম্পের ধরনের বক্তব্য তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়কার আচরণের বিপরীত। কেননা, নির্বাচনি প্রচারণার সময় রাশিয়ার ব্যাপারে বন্ধুসুলভ মন্তব্য করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে।
২০১৪ সালের ১৪ মার্চ এনবিসির ‘টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউএসএ’ প্রচারণায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। আমাদেরকে কিছু শক্তি দেখাতে হবে।’
অথচ, রবিবার টাইমস অব লন্ডন এবং জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র কমিয়ে আনার শর্তে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে তাদের এ প্রতিবেদনটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলের এক মুখপাত্র।
/এফইউ/